চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে ফের পদ্মায় লঞ্চ চালু

চাঁদাবাজির প্রতিবাদে চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আজ মঙ্গলবার রাতে ফের পদ্মা নদীর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
নির্বিঘ্নে লঞ্চ চলাচলের ব্যবস্থা করতে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস ও রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম খান এবং মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান ও রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিহাদুল কবিরসহ সংশ্লিষ্টরা ফোনে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করেন। এরপর তাঁরা চাঁদাবাজি বন্ধে আইনি ব্যবস্থা, লঞ্চ সুপারভাইজার ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিলে ফের লঞ্চ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে শিবালয় লঞ্চ মালিক সমিতির নেতারা জানিয়েছেন।
এর আগে প্রতিদিনই দৌলতদিয়া ঘাটে ক্ষমতাসীন দল ও স্থানীয় প্রভাবশালী পরিচয়ে কয়েকজন এসে কাউন্টারে চাঁদাবাজি করায় অতিষ্ঠ হয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে লঞ্চ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় শিবালয় লঞ্চ মালিক সমিতি।
লঞ্চ বন্ধের পর থেকেই অনেক যাত্রীই এ নৌপথের ফেরিতে নদী পারাপার হতে থাকেন। এতে লঞ্চের চেয়ে ফেরিতে নদী পার হতে প্রায় আধা ঘণ্টা সময় বেশি লাগায় দুর্ভোগ পোহান যাত্রীরা।
লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকরা জানান, কিছু দিন ধরে কয়েকজন মুখ চেনা ব্যক্তি দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় প্রভাবশালী পরিচয়ে লঞ্চ কাউন্টারে চাঁদাবাজি করছে। অনেক সময় চাঁদা না পেয়ে তারা লঞ্চ শ্রমিক ও সুপারভাইজারদের গালিগালাজ এবং লাঞ্ছিতও করেছে।
শিবালয় লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম খান জানান, সুপারভাইজার ও লঞ্চ শ্রমিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং চাঁদাবাজিতে মালিকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। মালিক সমিতি এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। এরপর মানিকগঞ্জ ও রাজবাড়ীর জেলার প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টরা ফোনে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করে চাঁদাবাজি বন্ধে আইনি ব্যবস্থা, লঞ্চ সুপারভাইজার ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিলে রাত ৮টার দিকে ফের লঞ্চ চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয়ের সহকারী বন্দর কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ জানান, চাঁদাবাজির প্রতিবাদে লঞ্চ মালিক সমিতি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে চলাচলকারী ২৫টি লঞ্চই বন্ধ রাখে। লঞ্চ মালিক সমিতি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় যাত্রীরা ফেরিতে নদী পারাপার হয়েছে। এতে অনেকেই ভোগান্তির শিকার হয়। বিষয়টি সমাধানে দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হস্তক্ষেপ করেছেন। এ কারণে চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের লঞ্চ চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিক সমিতি।