ডিসেম্বরেই ঢাকা-চট্টগ্রামে চার লেনের সুফল
আসছে ডিসেম্বরেই ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন সড়কের সুফল জনগণ পাবে বলে উল্লেখ করেছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এ ছাড়া চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন ও সড়ক সংস্কারের জন্য বড় বরাদ্দ আসছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জলাবদ্ধতা এবং রাস্তাঘাটের সমস্যা সমাধানে একটা বড় বরাদ্দ চট্টগ্রামের জন্য আসছে। তিনি এরই মধ্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
চট্টগ্রামের মেয়রকে ডেকেছেন। মেয়র প্রকল্প দিলেই পাস হয়ে যাবে। এরই মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রাস্তাঘাট ও নালা নর্দমার উন্নয়নে বড় বরাদ্দ পেয়েছে।’
সারা দেশে সড়কের বেহাল অবস্থার কথা উল্লেখ করে এর জন্য টানা বর্ষণ ও কাজের খারাপ মানকে দায়ী করছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তিন দশকে বাংলাদেশে এত বৃষ্টিপাত হয়নি। বেশি বৃষ্টিপাত এবার হয়েছে। টানা বর্ষণ হয়েছে চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। নির্মিত রাস্তাগুলোর কাজের মান অনেক ক্ষেত্রে সঠিক হয় না। অনেকে বলেন, মন্ত্রী কেন স্পটে যায়। মন্ত্রী না গেলে কাজের মান যা আছে সেটাও থাকত না। এ ছাড়া ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি ওজনের গাড়ি রাস্তায় চলাচল করে।’
এ ছাড়া রাস্তার কাজের খারাপ মানের জন্য রাস্তা বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তার কাজের মান অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ হয় না। ফাঁকিবাজি আছে। এগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। এগুলো জবাবদিহিতার আওতায় আনব। আমাদের মনিটরিং কমিটি সবার পারফরম্যান্স নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছে। ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের কৈফিয়তের আওতায় আনা হবে। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার দেব। খারাপ কাজের জন্য প্রকৌশল ও ঠিকাদার উভয়কে শাস্তি দেওয়া হবে। ’
এ সময় ভালো কাজের জন্য বর্তমান সরকারের দৃঢ়প্রতিজ্ঞার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, উন্নয়নকাজ নিয়ে তিনি কখনো দ্বি-চারিতা করেন না। কেউ দ্বি-চারিতা করেছে এমন প্রমাণ দিতে পারলে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবেন না বলে জানান মন্ত্রী।
২১ আগস্ট ইতিহাসের কালিমাময় দিন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা। বঙ্গবন্ধুকন্যা ছিলেন প্রধান টার্গেট। সেদিন আমি নিজেও আহত হয়েছিলাম। এখনো আমার শরীরে ১৪-১৫টি স্প্লিন্টার বয়ে বেড়াচ্ছি। এখনো আহত, পঙ্গু অনেকে কাতরাচ্ছে। এমনভাবে অনেকে আহত হয়েছেন, যাঁদের সারা জীবন কাতরানো শেষ হবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া মাঝখানে একটু ধীর হয়ে গিয়েছিল। প্রথমে এটা তো তদন্তই হতে দেয়নি। তথাকথিত একটা তদন্ত সাবেক এক বিচারপতিকে দিয়ে করানো হয়েছিল। তিনি আবার বিদেশি হাত আবিষ্কার করেছিলেন। জজ মিয়া নাটক থেকে শুরু করে অনেক কিছুই এর পেছনে আছে।’