শিমুলিয়াঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ চার দিন
পদ্মা নদীর নাব্যতা সংকটে শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি রুটে চতুর্থ দিনও নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে নদীর পানির গভীরতা কমে যাওয়ায় এই নৌরুটে ফেরি চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। আর এ কারণে ঘাট এলাকায় পাঁচ শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে।
urgentPhoto
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের উপব্যবস্থাপক চন্দ্র শেখর জানান, ফেরি চলাচল কার্যত বন্ধ রয়েছে। গতকাল রাত ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত একটি কেবল ফেরি লোড-আনলোড করা হয়েছে। ছোট ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছে। পানির গভীরতা পাঁচ ফুটের নিচে। আরো দ্রুত ড্রেজিং করা প্রয়োজন।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং শাখা) সুলতান আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়াঘাটের উপপরিচালক এস এম আজগর আলী বলেন, ‘ড্রেজিং চলছে। মূল নদীতে প্রচণ্ড স্রোত, তাই ড্রেজারগুলো ভালোভাবে কাটিং করতে পারছে না। আজ মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে মিটিং রয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে কীভাবে উত্তরণ হতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা হবে। দু-একদিনের মধ্যে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে মনে হয় না। তবে যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক করতে মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশ রয়েছে। চারটি ড্রেজার দিয়ে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে ড্রেজিং করা হচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়াঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন জানান, লঞ্চ চলাচলের জন্য পাঁচ ফুট পানি প্রয়োজন। তবে নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে।
মাওয়া হাইওয়ে পুলিশ সার্জেন্ট মো. সাহাদাত বলেন, ‘হাইওয়েতে দক্ষিণবঙ্গগামী বাস নেই। আমরা ফোন করে কাউন্টারকে না করে দিয়েছি। সাময়িকভাবে আরিচা ফেরিঘাট ব্যবহারের অনুরোধ করছি। এখানে পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে। ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন পাঁচশর বেশি হবে না।’ গাড়ি সিরিয়ালের নামে টাকা নেওয়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।