হামলার কথা স্বীকার করে ফয়জুলের জবানবন্দি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ফয়জুল হাসান। আজ রোববার দুপুরে ফয়জুলকে সিলেট মহানগর হাকিম হরিদাস কুমারের আদালতে হাজির করা হলে তিনি এই স্বীকারোক্তি দেন।
ফয়জুল কীভাবে হামলা চালিয়েছিলেন, কেন হামলা চালিয়েছিলেন, কারা এর পরিকল্পনায় জড়িত সেই তথ্য জবানবন্দিতে বলেছেন ফয়জুল হাসান।
১০ দিনের রিমান্ড শেষে আজ দুপুর দেড়টার দিকে ফয়জুল হাসানকে মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জাম হিরোর আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে ফয়জুল ১৬৪ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হন। এরপর জবানবন্দির জন্য দুপুর ২টার কিছু আগে ফয়জুল হাসানকে বিচারক হরিদাস কুমারের খাসকামরায় নেওয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, ফয়জুল হাসান জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন, কেন হামলা করেছেন এবং আর কারা এ হামলা পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন। তাঁদের নাম বলেছেন, তবে তদন্তের সার্থে আপাতত তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী বার্তা সংস্থা বাসসকে জানান, ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আজ ফয়জুলকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামি ফয়জুল আদালতে হামলার কথা স্বীকার করে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জবানবন্দি দেন। এ সময় তিনি ওই হামলার পরিকল্পনা, প্রস্তুতি এবং বর্ণনা আদালতকে জানান।
আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড শেষে বিকেলে ফয়জুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এর আগে ফয়জুলের ভাই এনামুল হাসান, বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মামা ফজলুর রহমান ও মা মিনারা বেগমকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
গত ৩ মার্চ শাবিপ্রবির মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা করেন ফয়জুল। তাৎক্ষণিক জাফর ইকবালকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলেই ফয়জুলকে ধরে পিটুনি দেন শিক্ষার্থীরা। পরে ফয়জুলকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীকে বাহিনীর হাতে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই রাতেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাফর ইকবালকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল।