পুলিশের দাবি ‘গোলাগুলিতে’ নিহত, স্ত্রীর দাবি ধরে নিয়েছে

মাগুরা সদর উপজেলায় দুদল ডাকাতের মধ্যে গোলাগুলির সময় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার ছনপুর গ্রাম থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
তবে নিহতের স্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁর স্বামীকে দুদিন আগেই বাড়ি থেকে সাদা পোশাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
নিহত ফখরুল ইসলাম (৪৫) মাগুরা সদর উপজেলার জগদল গ্রামের নুরুল শেখের ছেলে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম দাবি করেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে ছনপুর গ্রামের মাঠে দুপক্ষের গোলাগুলির শব্দ শুনে পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
‘পরে ঘটনাস্থল থেকে ফখরুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে চারটি শটগানের গুলি ও কিছু ধারালো দেশি অস্ত্র উদ্ধার হয়। ফখরুল একজন চিহ্নিত ডাকাত বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো দাবি করেন, ‘ছনপুরে একসময় প্রায়ই ডাকাতি হতো। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে ডাকাতি করতে এসে দুদল ডাকাতের মধ্যে গোলাগুলির সময় ওই ডাকাত নিহত হয়েছেন। ফখরুল ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামি ছিলেন।’
তবে নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী কাজল বেগম দাবি করেন, ‘দুদিন আগে সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয়ে ছয়জন লোক এসে ফখরুলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। ফখরুল আগে খারাপ কাজ করলেও কয়েক বছর ধরে তিনি ভালো হয়ে গেছেন। অটোরিকশা চালিয়ে সংসার নির্বাহ করতেন।’
‘আজ সকালে খবর পেয়ে হাসপাতাল মর্গে এসে স্বামীর গুলি খাওয়া লাশ দেখছি,’ যোগ করেন কাজল।
নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।