পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে নাব্যতা সংকট?
পদ্মা নদীর নাব্যতা সংকটে শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌরুটে ফেরি চলাচল ষষ্ঠ দিনেও স্বাভাবিক হয়নি। ড্রেজিং করলেও তীব্র স্রোতে পদ্মা সেতুর টেস্ট পাইলিংয়ের মাটি চ্যানেলে চলে আসায় এই নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আর ফেরি চলাচল না করাতে ঘাট এলাকায় ছয় শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দুটি ফেরি দিয়ে লোড-আনলোড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিমুলিয়াঘাট কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে নদীর পানির গভীরতা পাঁচ ফুটের নিচে চলে এসেছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করতে ড্রেজিং চলছে। মূল নদীতে প্রচণ্ড স্রোত, তাই ড্রেজারগুলো ভালোভাবে কাটিং করতে পারছে না।
গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আর যতটুকু ড্রেজিং করা হয়েছে, তাও কোনো কাজে আসে নাই। পদ্মা সেতুর টেস্ট পাইলিংয়ের মাটি চ্যানেলে চলে এসেছে। সে কারণেও এই নাব্যতা সংকটের সৃষ্টি হতে পারে। দু-একদিনের মধ্যে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে মনে হয় না। চারটি ড্রেজার দিয়ে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে ড্রেজিং করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী মহোদয়।’