লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ, একজন গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলায় ১৩ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুলাল নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রধান আসামিকে মুকবুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওই ছাত্রী সদর উপজেলার একটি দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ডাক্তারী পরীক্ষা করার জন্য তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত ২৭ মার্চ বিকেলে ওই ছাত্রী তার বাড়ির পাশের ফসলি বাগানে পানি দিচ্ছিল। এ সময় একই এলাকার বখাটে মুকবুল তাকে জোর করে পাশের বাগানে নিয়ে যায়। এ সময় মুকবুল ও তার সহযোগী দুলাল তাকে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি কাউকে বললে তাকেসহ পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেয় তারা। ঘটনার তিনদিন পর শুক্রবার ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে আবারো ধর্ষণের চেষ্টা চালায় মুকবুল। এ সময় দৌঁড়ে বসতঘরে চলে এলে তার বাবা ও ভাবির সামনে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে দুলালের সঙ্গে ছাত্রীকে বসিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করা হয়।
পরে আগের ঘটনাটি অভিভাবকদের কাছে জানায় ওই ছাত্রী। বিষয়টি স্থানীয়দের জানানোর পর বুধবার রাতে মুকবুল ও দুলালকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা মামলা করেন।
আসামি দুলাল ও মুকবুলের বাড়ি সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বড় রশিদপুর গ্রামে। মুকবুল বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদীর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচতি।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।