সভাপতির সামনেই লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের দফায় দফায় মারামারি
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির সামনেই লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা অর্ধশতাধিক প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর করে।
আজ রোববার বিকেলে শহরের বালিকা বিদ্যা নিকেতন মাঠে ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন উৎসব অনুষ্ঠান চলাকালে এসব ঘটনা ঘটে।
পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের হস্তক্ষেপে নেতাকর্মীরা শান্ত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাসের অনুসারীরা এ সংঘাতে জড়ায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফের যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয় লোকজন।
দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন উৎসব চলাকালে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর নেতৃত্বে একটি মিছিল সমাবেশস্থলে আসে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটোসের অনুসারীরা বাধা দেয়। এ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলের অর্ধশতাধিক প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর করে। বাবলু জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির অনুসারী।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল বলেন, সমাবেশস্থলে জায়গা ছিল না। এ সময় চেয়ারে বসা নিয়ে কিছু নেতাকর্মীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে তারা নিজেরা মিলে গেছে।
অনুষ্ঠানে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মমিন পাটওয়ারী, শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা কাজী এনায়েত, নুরুল করিম জুয়েল, দিদার মোহাম্মদ নিজামুল ইসলাম, নাহিদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরনবী চৌধুরী, বিজন বিহারী ঘোষ, আবদুল মতলব, রাসেল মাহমুদ মান্না, নজরুল ইসলাম ভুলু ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস প্রমুখ।