স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন স্বামী
লক্ষ্মীপুরে যৌতুকের দাবিতে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত নারীর নাম জোসনা বেগম (২২)।
আজ শনিবার জোসনা বেগমের লাশ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তাঁর স্বামী সুজন।
জোসনার পরিবারের দাবি, স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন চালিয়ে তাঁকে হত্যা করেছে।
অভিযুক্ত স্বামী সুজন সদর উপজেলার পিয়ারাপুর এলাকার বাসিন্দা। ছয় বছর আগে জোসনা ও সুজনের বিয়ে হয়।
জোসনার স্বজনরা জানান, বিয়ের পর থেকেই জোসনাকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় সুজনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ছাড়া সুজনের একাধিক পরকীয়া ছিল বলেও জানা যায়। এসব নিয়ে কথা বললে বিভিন্ন সময় জোসনা বেগমকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো।
সবশেষ গতকাল শুক্রবার সকালেও সুজন জোসনাকে মারধর করেন। সন্ধ্যায় দুই পরিবারের সদস্যরা বসে বিষয়টি মীমাংসা করেন। পরে আজ সকালে জোসনার লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান সুজন। জোসনার পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছেন, গতকাল রাতের কোনো এক সময় জোসনাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর তা ধামাচাপা দিতেই সকালে লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যখন জোসনাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয় তখন তিনি মৃত ছিলেন। পরে হাসপাতালে লাশটি রেখেই পালিয়ে যান তাঁর স্বামী।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, হাসপাতালে লাশ ফেলে যাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। নিহত জোসনা বেগমের লাশটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এরপর সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।