‘নাব্যতা সংকট নেই’
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌরুটে কোনো নাব্যতা সংকট নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং বিভাগ) আবদুস সালাম খান।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে এনটিভি অনলাইনকে আবদুস সালাম এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘নাব্যতা সংকট নেই, স্রোতই মূল সমস্যা। স্রোতের কারণে ঠিকমতো যেমন ড্রেজিং করতে পারছি না, তেমনি ফেরিও চলাচল করতে পারছে না।’ এ সময় তিনি জানান, চ্যানেলে নয় ফুট পানি আছে। কিন্তু ফেরির ইঞ্জিন দুর্বল হওয়ায় পদ্মার স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারছে না, তাই ফেরি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। স্রোতের বেগ ঘণ্টায় ৭ থেকে ৯ নটিক্যাল মাইল।
বিআইডব্লিউটিএর এ প্রকৌশলী আরো বলেন, ‘নাব্যতা সংকট থাকলে ক্যামেলিয়া ও কুসুমকলি নামে ফেরি দুটিও চলাচল করতে পারত না। ওই দুটি ফেরি নতুন, ইঞ্জিনের শক্তিও বেশি, তাই স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে পারে। কিন্তু আমাদের বেশির ভাগ ফেরি অনেক পুরোনো, যে কারণে স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘চায়না কোম্পানি ড্রেজিং সার্ভে করার জন্য বিদেশি শক্তিশালী জাহাজ নিয়ে এসেছিল। স্রোতের কারণে সেসব জাহাজই এক জায়গায় স্থির হতে পারছিল না। চায়না কোম্পানির ড্রেজিং মেশিন শক্তিশালী, দৈনিক ৩০ হাজার ঘনফুট মাটি কাটতে পারবে। পুরো চ্যানেল কাটতে ১০-১২ দিন সময় লাগবে।’
এদিকে, আজ শুক্রবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের উপব্যবস্থাপক চন্দ্র শেখর জানান, নয় দিন ধরে কার্যত ফেরি চলাচল বন্ধ। শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌরুটে ১৮টি ফেরি চলাচল করে। আজ সকাল পর্যন্ত দুটি ফেরি ক্যামেলিয়া ও কুসুমকলি দিয়ে গাড়ি লোড-আনলোড করা হয়েছে। পানির গভীরতা কম, সঙ্গে পদ্মার তীব্র স্রোত ও নৌ চ্যানেল অপ্রস্থ। ফেরি পানি কাটতে পারে না। ড্রেজিং ছাড়া ফেরি চলাচল সম্ভব নয়।
এদিকে, ফেরি চলাচল না করায় ঘাট এলাকায় পাঁচ শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এদের মধ্যে মালবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।