লক্ষ্মীপুরে শ্বশুরবাড়িতে যুবকের গলাকাটা লাশ
লক্ষ্মীপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম ওমর ফারুক (২৮) । নিহতের স্বজনদের দাবি, পারিবারিক কলহের জের ধরে তাঁকে হত্যা করেছে শশুরবাড়ির লোকজন।
গতকাল সোমবার রাতে চন্দ্রগঞ্জের পূর্ব জাফরপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ফারুক চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি কৃষক ছিলেন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, প্রায় আড়াই বছর আগে ফারুকের সঙ্গে একই ইউনিয়নের পূর্ব জাফরপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ে মমতাজ আক্তার ডলির বিয়ে হয়। প্রায়ই তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ হতো। তিন মাস আগে তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফারুকের বাড়িতে এসে তাঁকে মারধর করে। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। কিছুদিন পর আবার ঝগড়া হলে কাউকে কিছু না জানিয়ে ডলি বাবার বাড়ি চলে যান। গতকাল বিকেলে স্ত্রী ডলি মোবাইল ফোনে ফারুককে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার জন্য বলেন। সন্ধ্যায় তিনি ওই বাড়িতে যান। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে হত্যা করে একটি কক্ষে রাখে বলে স্বজনদের অভিযোগ। বাড়ির আশপাশের লোকজন বিষয়টি অনুমান করতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। রাতেই পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মেঝে থেকে একটি রক্তমাখা দা জব্দ করে পুলিশ। পরে আজ মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আহাম্মদ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। ঘটনার আলামত পেয়ে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।