যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী ও শিশুমেয়েকে হত্যা!
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে স্ত্রী ও দেড় বছর বয়সি শিশুমেয়েকে হত্যার অভিযোগে স্বামী মাহবুবুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল দুজনের লাশ উদ্ধারের পরই পালিয়ে যান মাহবুবুর রহমান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডুমুরিয়া বাজার থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন মাহবুবুর রহমান। মাহবুবুর পুলিশকে জানিয়েছে, যৌতুক না পাওয়ায় তিনি স্ত্রী রেশমা ও শিশু মারিয়াকে হত্যা করেছেন। তবে মাহবুবুরের এ কথা যাচাই-বাছাই করছে পুলিশ।
খুলনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার বিভূতি ভূষণ ব্যানার্জি জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডুমুরিয়া বাজারে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় পুলিশ মাহবুবুরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
রেশমা বেগম ও তাঁর দেড় বছর বয়সী শিশু মেয়ের লাশের ময়নাতদন্তের পর আজ ডুমুরিয়ার হাসানপুরে দাফন করা হয়েছে।
বিভূতি ভূষণ ব্যানার্জি আরো জানান, আটক মাহবুবুর রহমান পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি নিজে তাঁর স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। কারণ হিসেবে জানান, তিনি প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা যৌতুক না দেওয়ায় তার বাবা সিরাজউদ্দিন মোড়ল ও মা রাগারাগি করতেন। বলতেন, তার একটা ছেলে বিয়ে করল কিন্তু বিয়েতে কিছু পেল না। এই মানসিক নির্যাতনে তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
তবে পুলিশ মাহবুবুরের বক্তব্য যাচাই-বাছাই করে দেখছে বলে তিনি জানান।
রেশমা বেগম হাসানপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদের মেয়ে। চার বোনের মধ্যে রেশমা ছিলেন তৃতীয়।
আজ রাতে নিহত রেশমার বাবা বাদী হয়ে মামলা করবেন বলে ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মশিউর রহমান জানিয়েছেন।