পুনঃময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উত্তোলন
গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় গৃহবধূ খালেদা আক্তার হত্যার আড়াই মাস পর আদালতের নির্দেশে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তাঁর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চলতি বছরের ১৯ জুন কোনাবাড়ীর দেওলিয়াবাড়ীতে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্বামী মাসুমের হাতে মারধরের শিকার হন গৃহবধূ খালেদা আক্তার। পরের দিন সকালে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ বসতঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় স্বামীর বাড়ির লোকজন খালেদা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার চালায় এবং অপমৃত্যুর মামলা করে।
নিহতের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের পিঠ, বুকসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। পরে এ ঘটনায় স্বামী মাসুমসহ চারজনকে আসামি করে নিহত গৃহবধূ খালেদা আক্তারের বাবা আবদুল হান্নান জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। মামলার পর থেকে স্বামীসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।
জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আজিজ জানান, নিহতের স্বজনরা আদালতে পুনঃময়নাতদন্তের আবেদন করলে আদালত মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে পুনঃময়নাতদন্তের আদেশ দেন।
আদালতের নির্দেশে গাজীপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা শাহরীন মাধবীর উপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। মরদেহ উত্তোলনের খবরে এলাকার শত শত মানুষ কবরস্থানে ভিড় জমায়।

নাসির আহমেদ, গাজীপুর