পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মারামারি, স্ত্রী-ভাইসহ আটক ৫

পাম্পে তেল ভরতে গিয়ে দুই মোটরসাইকেলের হালকা ঠোকাঠুকি। তারপরেই চালকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি। এরপর হাতাহাতি। একপর্যায়ে টুল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় একজনকে। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই আহত ব্যক্তি ছিল সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্য।
এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। তাঁকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী, ভাই, বোনসহ পরিবারের সাতজনকে আটক করা হয়। অসুস্থ থাকায় পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মাগুরার ভায়না মোড়ের কাছে দত্ত অ্যান্ড জামান পেট্রোল পাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্য হলেন কনস্টেবল মোহম্মদ বোরহান (২২)। ওই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরেক পুলিশ সদস্য জাহিদ হাসান। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন মাগুরা জেলা বিএনপির সদস্য ঠিকাদার ফরিদ খান ও তাঁর ভাগ্নে জাকারিয়া।
ওই তেল পাম্পের কর্মকর্তা মাখন মোল্ল্যা জানান, দুপুরে পাম্পের সামনে মোটরসাইকেল পাশ দিয়ে চালানো নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ফরিদ খান ও তাঁর ভাগ্নে জাকারিয়ার সঙ্গে সাদা পোশাকের দুই পুলিশ সদস্যের মধ্যে কাঠের টুল দিয়ে মারামারি হয়। এতে কনেস্টবল বোরহানের মাথা ফেটে রক্ত বের হলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় ফরিদ তাঁর মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান।
এই ঘটনায় ফরিদ খান বলেন, ‘সিভিল পোশাকের দুই পুলিশ বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে পাশ দিয়ে চলে যান। এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আমাকে ও আমার ভাগ্নেকে কাঠের টুল দিয়ে মারতে থাকেন। আমার হাতের আঙুলে আঘাত লাগলে আমিও প্রতিরোধ করি।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, এই ঘটনায় ফরিদ খানের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে তাঁর স্ত্রী বিলকিস আক্তার, ভাই মিন্টু খান, বোন বিজরী খাতুন ও ভগ্নিপতি বিএনপি নেতা ওবায়দুর রহমান বাটুলসহ পরিবারের সাতজনকে আটক করা হয়েছে। অসুস্থ থাকায় বাটুল ও বিজরীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওসি জানান, ফরিদ খানের মোটরসাইকেলটি পুলিশ জব্দ করেছে। এ ছাড়াও আসামিদের ধরতে পুলিশের তল্লাশি চলছে।