মেঘনায় দস্যুদের হামলায় নিখোঁজদের একজনের লাশ উদ্ধার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীতে জেলেদের ট্রলারে জলদস্যুদের হামলার দুইদিন পর সাইদুল হাওলাদার নামের এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার রামগতি খাল এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে নদীতে মাছ ধরতে গেলে বরিশাল ও লক্ষ্মীপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় ট্রলারে হামলা চালায় জলদস্যুরা। এ সময় ট্রলারে থাকা সাত জেলে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এদের মধ্যে পাঁচজন তীরে এসে উঠতে পারলেও, দুই জেলে নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ দুজনের মধ্যে সাইদুল হাওলাদারের লাশ আজ পাওয়া যায়। তবে আরেক জেলে আবুল কালাম এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা যায়।
ঘটনায় শিকার জেলে বেলাল ও কবির জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নদীতে মাছ ধরতে গেলে বরিশাল ও লক্ষ্মীপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় তাদের ট্রলারে জলদস্যুরা হামলা চালায়।
এ সময় তারাসহ সাত জেলেকে মারধর করে নদীতে ফেলে দিয়ে ট্রলার, জাল ও মাছসহ মালামাল লুটে নিয়ে যায় দস্যুরা। এ সময় পাঁচজন তীরে এসে উঠলেও নিখোঁজ হন দুই জেলে।
আজ সাইদুল হাওলাদারের মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তবে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, ‘নদীতে জেলেরা মাছ ধরার সময়ে, এটা আমাদের সীমানায় হতে পারে, অন্য থানাধীনও হতে পারে। তো এটার রিমার্কেশন সম্ভব হয়নি। তো ওখানে মাছ ধরাকালীন একটা নৌকা তাদের নিকটবর্তী, সম্ভবত তারা জলদস্যু ছিল, দুষ্কৃতিকারী ছিল। তো ওরা নিকটবর্তী হলেই এরা ভয়ে নদীতে ঝাপিয়ে পড়ে। ওখান থেকে চার-পাঁচজন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। দুইজন সক্ষম হয় নাই। তাদের একজনের লাশ পাওয়া গেছে আজকে সকাল বেলায়। আরেকজনের লাশ এখনো নিখোঁজ অবস্থায় আছে। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। লাশের পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’