৫ ঘণ্টা আগে লঞ্চ ছাড়ায় যেতে পারলেন না অনেকে
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/06/23/photo-1529768182.jpg)
নির্ধারিত সময়ের পাঁচ ঘণ্টা আগেই লঞ্চ বন্দর ছেড়ে যাওয়ায় গন্তব্যে যেতে পারেননি বুকিং করে রাখা অনেক যাত্রী। তাই আজ শনিবার পটুয়াখালী নদী বন্দরে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
বুকিং করে রেখেও যেতে না পারায় যাত্রীদের মধ্যে ছিল চরম অসন্তোষ। ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অনেক নারী শিশুকে।
আজ নির্ধারিত সময়ের আগেই সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ঢাকার উদ্দেশে পটুয়াখালী ত্যাগ করে সাতটি লঞ্চ। ফিরতে না পেরে ঘাটে অপেক্ষা করে শত শত মানুষ।
লম্বা ছুটির পর আগামীকাল রোববার কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে, তাই আজ পটুয়াখালী নদীবন্দরে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি।
এদিকে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানোর আশঙ্কায় পটুয়াখালী ঘাট ত্যাগ করতে লঞ্চগুলোকে বাধ্য করে নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন।
জানা যায়, সকাল ১০টা থেকেই একের পর এক লঞ্চ ভরে যায়। এরপরও যাত্রীরা অপেক্ষা করছিল।
এদিকে, আগে থেকে বুকিং করা অনেক যাত্রী কেবিন না পেয়ে এবং সাধারণ যাত্রীরা লঞ্চে উঠতে পারেননি। তাই, কেউ কেউ বাড়ি ফিরে গেলেও অনেক যাত্রী অন্য লঞ্চের অপেক্ষায় ছিল।
এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগে লঞ্চ ছাড়ার ব্যাপারে জেলা নৌ কর্মকর্তা আব্দুল হালিম মিয়া বলেন, ‘যাত্রী হলেই ঘাট ত্যাগ করতে হবে। এ সময় কোনো টাইম মানা হবে না বলে আগে থেকেই এমন সতর্কতা করা হয়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা ও উদ্ধার তৎপরতার জন্য উদ্ধারকারী জাহাজ হামজাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
এদিকে, পটুয়াখালীতে আজ সকাল ৬টা থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছিল। সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি শরু হলেও আকাশ মেঘে কালো হয়ে যায় ৯টার দিকে। পরে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়।
স্থানীয় নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায়, জেলার অভ্যন্তরীণ ১৮টি নৌপথে ৬৫ ফুটের নিচের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তবে ঢাকাগামী বড় লঞ্চগুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। এদিকে বৃষ্টির কারণে শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।