জমি দখল ও চাঁদাবাজির মামলায় গাজীপুরে যুবলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূবাইল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া মো. আলমগীর হোসেন গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত রোববার একই মামলায় তাঁর দুই ভাই গাজীপুর শহর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব রানা (৪৫) এবং কাজী আজিম উদ্দিন কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগ নেতা লিয়াকত হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া তাঁদের আরেক ভাই গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানা এরশাদও একই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি।

ঢাকাস্থ রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এটিএন বাংলার সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব গত শনিবার রাতে জয়দেবপুর থানায় ভূমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বরাত দিয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল হাসান রেজা এনটিভি অনলাইনকে জানান, জেলা শহরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের পাশে চার শতাংশ ডোবা জমি ভূমি সংস্কার বোর্ড থেকে ইজারা নিয়েছে ঢাকাস্থ রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি।

শনিবার বিকেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক এটিএন বাংলার সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব ওই জমিতে এসে দেখতে পান গাজীপুর মাদকাসক্ত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নামের একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে।

এ সময় বাদী সমিতির নামে ইজারা নেওয়া জমিতে কাজ না করার জন্য নির্মাণ শ্রমিকদের নিষেধ করেন। শ্রমিকরা জানান, তাঁরা আসামিদের নির্দেশে নির্মাণকাজ করছেন। এ সময় খবর পেয়ে আসামিরাসহ অজ্ঞাত আরো চার-পাঁচজন ঘটনাস্থলে এসে বাদীকে চলে যেতে বলেন। এ সময় আসামিরা জমি নিতে হলে তাঁদের ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলেও হুমকি দেন। একপর্যায়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করেন বাদী।

ওসি আরো জানান, প্রায় দুই মাস আগে লিয়াকত হোসেন তাঁর লোকদের নিয়ে গাজীপুর শহরের রথখোলা এলাকায় একইভাবে জনৈক কর্নেল ইকবাল হোসেনের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় জমি দখল করে লিয়াকত হোসেনের নামে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন।

পরে এ ব্যাপারে কর্নেল ইকবাল হোসেনের স্ত্রী কামরুন্নাহার বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় চার ভাইয়ের নামোল্লেখ করে একটি মামলা করেন।

এ ছাড়া কয়েক মাস আগে চাঁদাবাজি ও দখলের অভিযোগে কালিয়াকৈর থানায় করা একটি মামলায় ছাত্রলীগ নেতা এরশাদ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এরশাদ ওই মামলায় বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।