শরীয়তপুরে নদী ভাঙনে নিখোঁজ আটজনের খোঁজ মেলেনি

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় নদী ভাঙনে নিখোঁজ আট ব্যক্তিকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, নড়িয়ার সাধুর বাজার লঞ্চঘাটের নদী ভাঙনে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল পাঁচজন। পরে আজ বুধবার নিখোঁজ হন আরো তিনজন।
শরীয়তপুর-মাদারীপুরের ডুবুরিদল ট্রলার দিয়ে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের কান্না ও আহাজারিতে এখন ভারি হয়ে উঠেছে পদ্মার পাড়। তাঁরা নিজেরাও খোঁজাখুঁজি করছেন বিভিন্ন পাড়ে।
এদিকে, নড়িয়ায় নদী ভাঙন এখনো অব্যাহত রয়েছে বলে জানা যায়।
আজ দুপুরে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম ও জেলা প্রশাসক কাজী আবুতাহের।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক কাজী আবুতাহের।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গতকাল পর্যন্ত পাঁচজন নিখোঁজ ব্যক্তির তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। আজ সকালে আরো তিনজন ব্যক্তির নিখোঁজের বিষয় স্বজনরা জানায়।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন নড়িয়ার চাকধ গ্রামের নাসির উদ্দিন হাওলাদার, পাচু খাঁর কান্দি গ্রামের মোশারফ চোকদার, কেদারপুর গ্রামের নাসির উদ্দিন, রশিদ হাওলাদার, কেদারপুর গ্রামের শাজাহান বেপারী, গুপি বাছার, মজনু ছৈয়াল ও আইটেল মোবাইল ফোন কোম্পানির বিক্রয়কর্মী আল আমীন হাসান।
শরীয়তপুরের নড়িয়ার সাধুর বাজার লঞ্চঘাটে নদী ভাঙনে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের আহাজারি। ছবি : এনটিভি
কাজী আবুতাহের বলেন, ‘নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান করার জন্য শরীয়তপুর ও মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের ডুবুরিরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজদের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে নড়িয়ার কেদারপুর ইউনিয়নের সাধুরবাজার লঞ্চঘাটে ৩০ মিটার জায়গা নদীতে ধসে পরে। তখন তিনটি দোকান নদীতে বিলীন হয়ে যায়। সঙ্গে তীরে থাকা প্রায় ৩০ জন মানুষ নদীতে তলিয়ে যায়। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে ১৫ ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন। তাদের মধ্যে ১২ জনকে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।