চাকরির জন্য সৎবোনের বাসায় এসে গণধর্ষণের শিকার
তরুণীর (২৫) মাথায় ছোট ছোট চুল, শরীরে পোশাক বলতে একটি গেঞ্জি আর তার ওপর চাদর জড়ানো। এই অবস্থাতেই আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করিডরে তাঁকে দেখতে পায় লোকজন। তখন তাঁর দুই পা বেয়ে রক্ত ঝরছিল, হাতেও ছিল ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। তার পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বাবুল মিয়া দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে এভাবেই বর্ণনা দিচ্ছিলেন তরুণীটির সম্পর্কে। তিনি এখন ২১২ গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এএসআই আরো বলেন, তরুণী দাবি করেছেন, তিনি গতকাল রোববার রাতে গুলিস্তানের একটি বাসায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। চারজন ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করেছে। এরপর কেউ একজন তাঁকে হাসপাতালে ফেলে গেছে।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণী। তিনি কয়েকদিন আগে লঞ্চে করে ঢাকায় আসেন কাজের সন্ধানে। ওঠেন গুলিস্তানে তাঁর সৎবোনের বাসায়। সেখানেই তিনি ধর্ষণের শিকার হন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। তিনি বিবাহিত, তাঁর একটি সন্তানও রয়েছে। তবে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়কারী চিকিৎসক বিলকিস বেগম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তরুণীরজননাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আমরা দেখেছি, ভেতরের অংশ ফেটে গেছে। তাই তাঁকে দ্রুত গাইনি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে অস্ত্রোপচারের জন্য।’
তরুণীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গণধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেন ওসিসির সমন্বয়কারী। তিনি আরো বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে মনে হয়নি তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি চাকরির জন্য সৎবোনের বাসায় এসেছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন না তাঁর সৎবোন খারাপ। সৎবোনের সহায়তায় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে মেয়েটি আমাদের জানিয়েছে।’