নালিশ করতে গিয়ে মার খেল শিশু
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/17/photo-1442442007.jpg)
ঝালকাঠির নৈকাঠি এস হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সজিব হোসেনের (১০) সঙ্গে খেলাধুলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় রাসেলের। একপর্যায়ে রাসেল সজিবকে মারধর করে। রাসেলের ব্যাপারে নালিশ জানাতে যায় সজিব। রাসেলের বাবা ফিরোজ জমাদ্দার উল্টো মারধর করতে থাকেন সজিবকে। ধানক্ষেতে ফেলে শিশু সজিবের বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে পা দিয়ে আঘাত করেন তিনি।
ঝালকাঠির রাজাপুরে গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে রাজাপুর থানায় শিশু সজিবের মা শিরিন আক্তার অভিযোগ দায়ের করেন। সজিব এখন রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
শিরিন আক্তার জানান, রাসেল মারধর করায় নালিশ জানাতে রাসেলের বাবার কাছে যায় সজিব। ফিরোজ জমাদ্দার এর পরই ক্ষিপ্ত হয়ে সজিবকে মারধর করতে থাকেন। জীবন বাঁচাতে সজিব দৌড়ে পাশের ধানক্ষেতে চলে যায়। ফিরোজ সেখানে দৌড়ে গিয়ে সজিবকে ধরে কাদাপানির মধ্যে পা দিয়ে বুকে ও শরীরের অন্য অংশে লাথি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে সজিব অচেতন হয়ে পড়ে।
রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক আবদুল কাইউম জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়ে ফিরোজ জমাদ্দারকে মঙ্গলবারই আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ফিরোজ ও শিরিন উভয়ই আত্মীয়। এ কারণে স্বজনদের মধ্য থেকেই সালিশি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাতে সাতুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সোবহান খানের জিম্মায় ফিরোজকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘যদি অভিযোগকারীরা মামলা করে তাহলে ফিরোজের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযুক্ত ফিরোজ জমাদ্দার বলেন, ‘আমার ছেলে রাসেল ও সজিবের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। সজিব এ ঘটনার নালিশ করেছে। কিন্তু এ সময় তাকে মারধর করা হয়নি।’