‘এই পেশায় সংসার চালাতে কষ্ট হয়’
‘এই পেশায় আমরা যারা আছি, তারা খুবই অবহেলিত। বর্তমানে দ্রব্যমূল্য বেশি হলেও সে অনুযায়ী আমরা ন্যায্যমূল্য পাই না। এই পেশায় থেকে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়।’
ঈদের আগে ব্যস্ততা নিয়ে জানতে চাইলে এনটিভি অনলাইনের কাছে এমন আক্ষেপের কথা জানালেন মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দীঘিরপাড় বাজারের কামার হরিকান্ত মল্লিক। তাঁর মতোই আক্ষেপ ঈদের আগে ব্যস্ত সময় পার করা আরো কয়েক কামারের। এঁদের একজন কানু কর্মকার। তাঁর দোকান সদর বাজারে।
ব্যস্ততা ও কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে কানু বলেন, ‘আমাদের পূর্বপুরুষরা এই কাজ করে আসছে। অর্ধশত বছর হবে আমি এই কাজে। সারা বছর তেমন কোনো কাজ না থাকলেও কোরবানির সময় আমাদের কাজের চাহিদা বেড়ে যায়।’
কানু জানান, তিনি পুরোনো জিনিসপত্র ধার দেওয়াসহ নতুন যন্ত্রপাতি বিক্রি করে থাকেন। জিনিসপত্রের দাম আগের চেয়ে একটু বেশি। আগে ৪৫০ টাকা কেজিদরে লোহার তৈরি ছুরি, দা-বঁটি, চাপাতি বিক্রি করা হতো। বর্তমান বিক্রি হয় ৬০০ টাকা কেজি দরে।
কানু কর্মকার বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপকরণ পাথর, কয়লা যা আগে কিনছি ৭০০-৮০০ টাকা প্রতি বস্তা। এখন প্রতি বস্তার দাম হইছে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা।’
ঈদের আগে মুন্সীগঞ্জ জেলায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে লোহা পেটানোর শব্দ। ব্যস্ত হাতে দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতিসহ নানা সরঞ্জাম তৈরি করছেন কারিগররা। দম ফেলারও যেন ফুসরত নেই কারো। দিন-রাত সমানতালে চলছে কাজ। এরপরও হাসি নেই কামারদের মুখে। তাঁদের ভাষ্য, সরকারি সহযোগিতা না পেলে এ শিল্প হারিয়ে যেতে পারে।