জাল রুপি পাচার, পাঁচজন জেলহাজতে
চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আনা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জাল রুপী পাচারের ঘটনায় আটক পাঁচজনের জামিন আবেদন বাতিল করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আদালত আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নূরে আলম ভূইয়া আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে শুল্ক কর্মকর্তা বিধান কুমার বড়ুয়া বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম আদালতের প্রসিকিউশন মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনে মিনান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার চট্টগ্রাম বন্দরে সমুদ্র পথে আসা একটি কন্টেইনারে তল্লাশি চালায় শুল্ক গোয়েন্দারা। এ সময় একাধিক কার্টন থেকে বেরিয়ে আসে দুই কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ ভারতীয় রুপী। এ ঘটনাকে স্মরণকালের বৃহত্তম ভারতীয় রুপীর চালান বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
২০ ফুট দৈর্ঘ্যের আটক কন্টেইনারটি গত ১২ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর থেকে কলম্বো হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে ১৬ সেপ্টেম্বর। চট্টগ্রামের হাটহাজারী নিবাসী মো. শহীদুজ্জামানের নামে কন্টেইনারটির আমদানি সংক্রান্ত কাগজপত্রে পণ্যের ঘোষণায় বলা হয়েছে, কন্টেইনারে ১৬২টি কার্টনে গৃহস্থালী পণ্য রয়েছে। এ ঘটনায় কনটেইনার খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান ফ্লাশ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের আবু শাহাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম ওরফে শামীম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদ উল্লাহ, আহাম্মদ উল্লাহ তালুকদার, কাওসার আলম ও পণ্যের চালান আনা শহীদুজ্জামানের ভাই তৌহিদুল আলমকে আটক করা হয়েছে। তবে শহীদুজ্জামানকে আটক করা যায়নি।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে আটক মুদ্রাগুলো জাল উল্লেখ করে এগুলো পাচারে বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন।