বড়, সেজোর পর ছোটর পায়ে পুলিশের গুলি
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকায় সোহাগ নামের এক যুবক দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, গভীর রাতে পুলিশ সোহাগকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে দুই পায়ে গুলি করে আহত করে। আর চান্দগাঁও থানা পুলিশের দাবি, আজ বুধবার ভোরে চান্দগাঁও থানার শ্যামলী আবাসিক এলাকায় সোহাগ তাঁর কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের (পুলিশ) ওপর হামলা করে। পুলিশও গুলি চালায়। এতে সোহাগের দুই পায়ে গুলি লাগে।
সোহাগের সেজো ভাই ইসমাইল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দেড় মাস আগে বড় ভাই ইদ্রিস হোসেনকে বহদ্দারহাটে নিয়ে গিয়ে পায়ে গুলি করে পুলিশ। তাঁর দুই পা কেটে ফেলা হয়েছে। এখনো তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’ তিনি আরো বলেন, ‘মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে ইদ্রিসকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরই ইদ্রিসকে ধরে নিয়ে গিয়ে পায়ে গুলি করা হয়।’
সেজো ভাই ইসমাইলও পঙ্গু। তিনি বলেন, ‘আমি মাছের ব্যবসা করতাম। গত দুই বছর আগে অস্ত্রমামলায় আমাকে আটক করে পুলিশ। পরে একইভাবে পায়ে গুলি করে।’ তিনি আরো জানান, তাঁদের মা মাহফুজা বেগমকেও ২০১৩ সালে ঘরে কার্তুজ রাখার অভিযোগে আটক করে পুলিশ।
ইসমাইল বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সঙ্গে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের শত্রুতা আছে। এ কারণে নিয়মিতভাবেই আমাদের পরিবার হয়রানির শিকার হচ্ছে।’
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শায়রুল ইসলাম বলেছেন, ‘সোহাগরা এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য। তাঁদের প্রত্যেকের (সোহাগের ভাই) বিরুদ্ধে নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।’ সোহাগকে আটক অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।