নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এটা নিশ্চিত : নাসিম

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিজিটাল চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মোহাম্মদ নাসিম। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ কথা জানা যায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এটা নিশ্চিত। কারচুপির কোনো প্রশ্নই ওঠে না। নির্বাচন কমিশনও তো বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সব দল নির্বাচনে আসায় দেশে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বাদ দিয়ে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে নাসিম বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে এসেছে এটা স্বস্তির খবর, ভালো খবর। আশা করি, তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে এবং জনগণের রায় মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে থাকা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতাদের ভর্ৎসনা করে নাসিম বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলতো,… এখনো ধারণ করে, তাঁরা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এর বিচার জনগণই আগামী নির্বাচনে ইনশা আল্লাহ ৩০ ডিসেম্বর রায় দিয়ে করে দেবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, যারা এতোদিন বঙ্গবন্ধুর কথা বলে মুজিব কোট পরে এখন ধানের শীষে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা ভণ্ড ও প্রতারক। শুধু ভোটের জন্য তাঁরা খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে অভিযোগ করে নাসিম বলেন, ‘নির্বাচনবিধি লঙ্ঘন করে যদি কেউ কোনো বক্তব্য দেয়, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তো সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, তারা যেন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আমি মনে করি নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়–য়া, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ বি এম মাকসুদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।