নোয়াখালীতে যুবলীগের নেতাকে হত্যা

নোয়াখালী সদর উপজেলায় ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন আরেক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক। তাঁদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার কাজীপাড়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত মোহাম্মদ হানিফ সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার কাজীপাড়ায় যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফকে গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। তাঁর চিৎকারে এক পথচারী ও অটোরিকশাচালক ছুটে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে ও গুলি করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে মৃত্যু হয় হানিফের।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী একরামুল হক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসীরা নির্বাচন বানচালের জন্য হামলা চালিয়ে হানিফকে হত্যা করেছে। তিনি এর বিচার চান।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেছেন, সমাবেশ আয়োজন নিয়ে নোয়াখালী-৪ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী ও বিএনপি প্রার্থী মো. শাহজাহানের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে হানিফ গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।