বিএনপির প্রার্থী জয়নুল আবদিনের গাড়িবহরে হামলা, কার্যালয় ভাঙচুর

নোয়াখালী-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুকের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ওই গাড়িবহরে থাকা পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
আজ রোববার সকালে সেনবাগে ওই ঘটনা ঘটে। সেনবাগ-সোনাইমুড়ীর একাংশ নিয়ে নোয়াখালী-২ আসন গঠিত।
হামলায় আহত হয়েছেন সেনবাগ উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচজন।
আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় দুর্বৃত্তরা উপজেলা বিএনপি কার্যালয়েও ভাঙচুর করে।
এ প্রসঙ্গে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় মিছিল করতে ওসিকে নির্ধারিত সময় দেওয়ার পর উনি আমাদের বলেছেন, আপনারা সাড়ে ৯টায় বিজয় মিছিল করবেন। সেই অনুসারে আমাদের পার্টি অফিস সেনবাগে আমাদের নেতাকর্মীরা সাড়ে ৮টার দিকে আসতে শুরু করে। এদিকে, আমরা জিজ্ঞেস করলাম আওয়ামী লীগ কখন দেবে। বলে তারা সকাল সাড়ে ৭টায় দেবে। পরে আমরা রাত্রে শুনতে পেলাম তারা সাড়ে ৮টায় করবে। আমি আবার সকালে ইউএনওকে (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শতরুপা তালুকদার ) ফোন দিলাম। ওসিকে ফোন দিলাম। ইউএনও বলল যে, আমি বলে দিয়েছি, আপনার মিছিলের আগে, সময়টা আর বলে না, শেষ করে দেবে।’
জয়নুল আবদিন জানান, তাঁর মিছিল নিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পরই উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা হয়। ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়। কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।
জয়নুল আবদিন বলেন, ‘ওসিকে ফোন দিলাম। ওসি বলল যে, স্যার, আমি আছি এখানে। আপনি যে ধৈর্য ধরেছেন, এটাই যথেষ্ট। আপনার এখানে টু শব্দ হবে না। আপনি ঠিক সাড়ে ৯টায় মিছিল শুরু করবেন। তখন আমি অলরেডি স্টার্ট। তখন ১০০ থেকে সোয়া’শ লোক আমার অফিসের দিকে এলো, বোম ককটেল নিক্ষেপ করল। আমার অফিস থেকে ২০০ গজ দূরে, পুলিশ দাঁড়ানো। সেখানে তারা (হামলাকারীরা) অফিসে ঢুকে তছনছ, ভাঙচুর, পিটিয়ে সবাইকে অফিস থেকে বের করে দেয়।’
জয়নুল বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমি সেনবাগ মাদ্রাসা ক্রস করে ফেলেছি। তখন ভাঙচুর হচ্ছে। তখন বাবুপুরে আমার গাড়ি আটকে দিল। ইট পাটকেল মারতে শুরু করেছে। ওসি, ইউএনও এই পর্যন্ত আমার ফোন আর ধরে নাই। চেষ্টা করেছি।’
জয়নুল জানান, এ হামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উল্লাহ, পৌর বিএনপির সভাপতি জহিরুল ইসলাম লিটন, সেনবাগ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাবুদ্দিন রাসেল ও পৌর ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেন স্বপন আহত হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।