জাপানের নাগরিক হত্যার ঘটনায় আটক ৫

রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জে জাপানের নাগরিক হোসিকমিও হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন হোসিকমিও যে বাসায় থাকতেন, সেই বাসার মালিক গোলাম জাকারিয়া, তাঁর ছেলে, জাপানি নাগরিকের প্রকল্প সহকারী হুমায়ুন কবীর হীরা, রিকশাচালক মোন্নাফ ও মুরাদ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এর আগে আজ সকাল ১০টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে দুর্বৃত্তরা গুলি চালায় হোসিকমিওর ওপর। এর মধ্যে তিনটি গুলি লাগে তাঁর শরীরে।
পুলিশ জানায়, এক বছরের ভিসা নিয়ে হোসিকমিও রংপুরে এসেছিলেন। ছয় মাস ধরে তিনি রংপুরের মাহিগঞ্জের আলুটারী এলাকায় একটি কৃষি প্রকল্প পরিচালনা করছিলেন। সকালে নগরীর মুন্সীপাড়ার ৩১ নম্বর ভাড়া বাসা থেকে রিকশাযোগে মাহিগঞ্জ যাওয়ার সময় আলুটারীতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে। গুলি তিনটি তাঁর বুক, পাজড় ও হাতে লাগে।
পুলিশ আরো জানায়, দৃর্বৃত্তরা মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হোসিকমিওর হাতের রগ কেটে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জয়নাল আবেদীন বলেন, নিহত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা পাসপোর্ট দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে তিনি জাপানি নাগরিক। তবে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে পুলিশকে আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক (ইএমও) সরওয়ার হোসেন জানান, হাসপাতালে আসার আগেই হোসিকনিওর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বুকে ও শরীরে গুলি লেগেছে।
এদিকে জাপানি নাগরিক নিহত হওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হুমায়ুন কবীর, জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাহাত আনোয়ার, পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুর রাজ্জাকসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে চেসারে তাভেলা (৫০) নামের ইতালির এক নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি গুলশানে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর হত্যা রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। ঠিক সেই মুহূর্তে রংপুরে একই ধরনের ঘটনা ঘটল।