নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে সরকার : মির্জা ফখরুল
নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে সরকার বিরোধীদলীয় জোটের প্রার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সরকারি ষড়যন্ত্রের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘মনোনয়নপত্র বাছাই, নির্বাচন কমিশনে আপিল ও প্রতীক বরাদ্দের স্তর অতিক্রম করে প্রার্থীরা যখন ভোটের লড়াই করবে, ঠিক সে সময় সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও তাদের সঙ্গে সরকারের সমর্থক পুলিশ সদস্যরা বিরোধীদলের প্রার্থী ও ভোটারদের হয়রানি, মামলা দায়ের, বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ও পোস্টার ছেঁড়াসহ নানা ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
ইতিমধ্যে বিএনপির আটজন প্রার্থীকে নির্বাচনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার জন্য সরকার ও সরকার দলীয় ব্যক্তিদের দায়ের করা মামলায় আদালতে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এবার বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের ২৩ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন ও তার ভিত্তিতে রিট দায়ের করেন সরকারদলীয় একজন আইনজীবী। নির্বাচন কমিশনের তিন কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে নিষ্পত্তির নির্দেশনা জারি করে মূলত নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে সরকার। বিরোধীদলের প্রার্থীদের আদালতের দোহাই দিয়ে অযোগ্য ঘোষণা করে বিনা নির্বাচনে ক্ষমতা দখলের ব্যবস্থা করাই হলো এই রিট আবেদনের উদ্দেশ্য।’
এ বিষয়ে ফখরুল আরো বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে তফসিল ঘোষণার পর দেশের সংবিধান ও সর্বোচ্চ আদালতে যেকোনো আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন ট্রাইবুনাল ছাড়া আর কোনো কর্তৃপক্ষের বিবেচনার সুযোগ নেই। মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, নির্বাচন কমিশনে আপিল ও প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীদের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে আবেদন তৈরি ও তা নিষ্পত্তির জন্য আদালতকে ব্যবহার নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা এ সব বেআইনি অপচেষ্টা বন্ধ করে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাচ্ছি।’

নিজস্ব প্রতিবেদক