হোসিকনিওর শরীর থেকে আলামত সংগ্রহ
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/04/photo-1443921233.jpg)
রংপুরের মাহিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত জাপানি নাগরিক হোসিকনিওর সুরতহাল রিপোর্ট এবং মৃতের শরীর থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে পড়ে থাকার ১৪ ঘণ্টা পর গতকাল রাত ১২টার দিকে জাপান দূতাবাসের একটি প্রতিনিধিদল ও রাজশাহী থেকে আসা সিআইডির ফরেনসিক টিম এ আলামত সংগ্রহ করে। তবে এখনো ময়নাতদন্ত করা হয়নি।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মাহিগঞ্জ আলুটারীতে প্রকাশ্যে একটি মোটরসাইকেলে আসা অজ্ঞাতপরিচয় তিন যুবক খুব কাছ থেকে গুলি করে হোসিকনিওকে হত্যা করে। হত্যাকারীরা মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতের রগ কাটার পর শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। হোসিকনিওর বুকে, পাঁজরে ও হাতে তিনটি গুলি লেগেছে বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, এক বছরের ভিসা নিয়ে নিহত জাপানি নাগরিক হোসিকনিও রংপুরে এসেছিলেন। ছয় মাস ধরে তিনি মাহিগঞ্জের আলুটারী এলাকায় জমি লিজ নিয়ে ঘাসের বীজসহ বিভিন্ন বীজ উৎপাদন করে আসছিলেন।
ঢাকা থেকে জাপানি দূতাবাসের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রাতে রংপুর এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মধ্যরাতে মেডিকেলের হিমঘরে রাখা হোসিকনিওর লাশ দেখতে আসেন। প্রতিনিধিদলটি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেনি। সিআইডির ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল ও লাশের শরীর থেকে আলামত জব্দ করে নিয়ে যায়।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার দুপুরেই রংপুর নগরীর মুন্সীপাড়ায় হোসিকনিও যে বাসায় ভাড়া থাকতেন তার মালিক জাকারিয়া বালা, হোসিকনিওর স্থানীয় সহযোগী হুমায়ুন কবীর হীরা, তাঁর ছোট ভাই তিতাস, রিকশাচালক মোন্নাফ ও ঘটনাস্থলের সঙ্গের বাড়ির খোকামিয়ার ছেলে মুরাদকে আটক করেছে। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে কী তথ্য পাওয়া গেছে এবং হত্যার মোটিভ সম্পর্কে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইতালির নাগরিক হত্যার পর ৩ অক্টোবর রংপুরে জাপানি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সরকার খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে গতকাল ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন।