ঝালকাঠিতে ৫০ কেজি ইলিশ জব্দ, দুই জেলের কারাদণ্ড
প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে চলছে ইলিশ শিকারের মহোৎসব। আজ মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে সুগন্ধা নদী থেকে ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৫০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে।
এ সময় দুই জেলেকে আটক করে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান জানান, আজ সকালে বিষখালী ও সুগন্ধা নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সুগন্ধা নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় দুই জেলেকে আটক করেন তাঁরা। আটকের সময় মাছ ধরা নৌকা থেকে কারেন্ট জাল ও ইলিশ মাছ জব্দ করে অভিযান পরিচালনাকারী দল। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল হাসানের ভ্রাম্যমাণ আদালত রমজান আলী ও সেলিম হাওলাদার নামের দুই জেলেকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন। তাঁরা ঝালকাঠি সদর উপজেলার দেউরি গ্রামের জেলে।
ওসি আরো জানান, জব্দ করা কারেন্ট জাল নলছিটি ফেরিঘাট এলাকায় নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ সময় নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নমিতা দে ও উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া জব্দ করা ইলিশ মাছ এতিমখানা ও দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
এদিকে, জেলেদের সঙ্গে পুলিশ, স্থানীয় যুবলীগ নেতাকর্মীদের যোগসাজশে অবাধে মা ইলিশ ও জাটকা নিধন করা হচ্ছে বলে দাবি নদী-তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের।
নদী-তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দা মাহফুজ তালুকদার বলেন, ‘এক কেজি ওজনের ইলিশ যেখানে এক হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হতো, সেই ইলিশই এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। বাজারে নেওয়া নিষিদ্ধ জেনে জেলেরা নদীতীরেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের কাছে কমমূল্যে বিক্রি করছেন মা ইলিশ।’
এ বিষয়ে ওসি মাকসুদুর রহমান জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযান চলাকালে জেলেরা মাছ ধরে না, কিন্তু অভিযান চালিয়ে ওই স্থান ছেড়ে গেলেই জেলেরা আবার মাছ ধরা শুরু করে।
মৎস্য বিভাগ ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ সময় ইলিশ ধরাসহ ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।