‘আরাকান আর্মির শীর্ষ নেতা’ রেনিন সো গ্রেপ্তার
মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘আরাকান আর্মি’র ‘শীর্ষ নেতা’ ডা. রেনিন সোকে গ্রেপ্তার করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার ইসলামপুর আদর্শ নতুনপাড়া এলাকা থেকে রেনিন সোকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজিবি জানিয়েছে, এ সময় রেনিন সোয়ের কাছ থেকে ভারতীয় ৪১ হাজার ১২০ রুপি, একটি ল্যাপটপ, তিনটি ক্রেডিট কার্ড, নেদারল্যান্ডসের পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্র এবং বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৫ টাকা উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, রাজস্থলী থানায় দায়ের করা দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রেনিন সো। তিনি এক দশক ধরে রাজস্থলীতে সুরম্য বাড়ি নির্মাণ করে স্থানীয় এক মারমা তরুণীকে বিয়ে করে বসবাস করে আসছিলেন। সেখান থেকেই আরাকান আর্মির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি।
বিজিবি আরো জানায়, ডা. রেনিন সো পলাতক ছিলেন। তিনি পলাতক অবস্থায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকটি ভিডিও বার্তা ছাড়েন। বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে বিজিবির মেজর সাব্বির আহম্মেদ গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এনটিভিকে বলেছিলেন, রেনিন সোকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। সকালের আগেই তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তার পর যা করার পুলিশই করবে।
রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অহিদুল্লাহ সরকার বলেছেন, ‘আটক রেনিন সো এখন থানা হাজতে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ ভারতীয় মুদ্রা রাখার অপরাধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়েছে। এর আগে রেনিনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে আরেকটি মামলা আছে। দুটি মামলায় আমরা আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড চাইব।’ রেনিন সোকে আজ বুধবার কিংবা কাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হবে বলেও জানান তিনি।
গত আগস্ট মাসে বান্দরবানের থানচিতে বিজিবির একটি টহল দলের ওপর আরাকান আর্মির হামলার দুদিন পর রাজস্থলীতে আরাকান আর্মির এই নেতার বাড়িটির খোঁজ মিলে এবং সেই বাড়ি থেকে ২৬ আগস্ট মং ইয়াং রাখাইন নামের তাঁর এক সহকারীকে আটক করে যৌথবাহিনী। পরে ২৭ আগস্ট বাড়িটির দুই কেয়ার টেকারকেও আটক করা হয়। এঁদের মধ্যে আরাকান আর্মির সদস্য মং ইয়ং রাখাইন এবং তাঁর বাড়ির এক কেয়ার টেকার ইতিমধ্যেই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা তিনজনই বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।