বান্দরবানে ৬ উপজেলায় আ.লীগ, একটিতে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নির্বাচিত

বান্দরবানের ছয়টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নৌকা এবং আলীকদমে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনী এজেন্ট ও প্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে সোমবার রাত পৌনে ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া বেসরকারি ফলাফল মতে, সদর উপজেলায় ৩৮ কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম জাহাঙ্গীর ১৫ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কুদ্দুছ পেয়েছেন ৯ হাজার ২৯৬ ভোট।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ২৫টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শফিউল্লাহ ১২ হাজার ১৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু তাহের মোটরসাইকেল মার্কায় আট হাজার ৬২১ ভোট পেয়েছেন।
রোয়াংছড়ি উপজেলার ২০টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা মার্কায় চহাইমং মারমা সাত হাজার ৭১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্যবামং মারমা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন চার হাজার ৪৩২ ভোট।
থানচি উপজেলায় ১৩টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী থোয়াই হ্লা মং নৌকা প্রতীকে পাঁচ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্যহ্লাচিং মারমা হেলিকপ্টার মার্কায় পেয়েছেন তিন হাজার ২৩৪ ভোট।
রুমা উপজেলায় ১৮টি কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উহ্লাচিং মারমা নৌকা মার্কায় পাঁচ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অংথোয়াইচিং মারমা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন চার হাজার ৯৭৭ ভোট।
আলীকদম উপজেলায় ২০টি কেন্দ্রের ফলাফলে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম মোটরসাইকেল মার্কায় নয় হাজার ২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী জামাল উদ্দিন চৌধুরী নৌকা মার্কায় পেয়েছেন সাত হাজার ৫৭৯ ভোট।
লামা উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফা জামাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী লাঙল প্রতীকের সেতেরা বেগম ও জোড়াফুল প্রতীকের মো. আলমগীর নির্বাচনের আগেই ঘোষণা দিয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে যান। এ ছাড়া এখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মিল্কী রানী দাশ। তবে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।