নিখোঁজ দুই পর্যটক ও গাইডের সন্ধান মেলেনি ১৩ দিনেও
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/16/photo-1445007655.jpg)
বান্দরবানের সীমান্তবর্তী রাঙামাটি থেকে নিখোঁজ দুই পর্যটক ও একজন গাইডের সন্ধান ১৩ দিনেও মেলেনি। আজ শুক্রবারও নিখোঁজদের খোঁজে ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়েছে।
নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আজ শুক্রবার বান্দরবানের প্রাচিংপাড়া কার্বারী প্রাচিং ম্রো, বড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য অনচন্দ্র ত্রিপুরা, স্থানীয় বাসিন্দা মেনচং ম্রো ও জয়পাল বড়ুয়াকে যৌথ বাহিনীর হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গত ৪ অক্টোবর সিদ্ধুপাড়া থেকে দুই পর্যটক জাকির হোসেন মুন্না, আবদুল্লাহ আল জোবায়ের ও বান্দরবানের রুমা উপজেলার পর্যটক গাইড মাংসাই ম্রো নিখোঁজ হন।
রাঙামাটির বড়তলী ইউপির চেয়ারম্যান আতমং মারমা দুই যুবকের বরাত দিয়ে জানান, বড়তলী ইউনিয়নের সিদ্ধুপাড়া থেকে অস্ত্র দেখিয়ে ওই তিন ব্যক্তিকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের সদস্যরা।
চেয়ারম্যান আতমং মারমা জানান, নিখোঁজের ঘটনায় কার্বারী প্রাচিং ম্রোসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে যৌথ বাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দা মেনচং ম্রোসহ আরো কয়েকজন আগামী শনিবার নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে ভারত সীমান্ত এলাকায় রওনা হবে।
যৌথ বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিখোঁজ ঢাকার দুই পর্যটক জাকির হোসেন মুন্না ও আবদুল্লাহ আল জোবায়ের দুজন স্থানীয় গাইড মাংসাই ম্রোর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মুন্না ও জোবায়ের নিয়মিত বান্দরবানের রুমায় আসতেন এবং কার্বারী প্রাচিং ম্রোর ছোট ভাই স্থানীয় গাইড মাংসাই ম্রো মুন্নার ঢাকার বাসায় যাওয়া-আসা করতেন। মুন্না স্থানীয় পাহাড়িদের মসলা চাষের জন্য আগাম টাকাও দিতেন। স্থানীয়দের সঙ্গে মুন্নার আর্থিক লেনদেনও গড়ে উঠেছিল। ওই দুই পর্যটক সম্পর্কে স্থানীয় বাসিন্দাদের মোটামুটি ভালোই জানাশোনা ছিল। স্থানীয় সূত্রগুলোর পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তিতে নিখোঁজদের খোঁজে সীমান্ত এলাকাগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানে স্থানীয় পাহাড়িদেরও রাখা হয়েছে।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ ব্যক্তিদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাঁদের খোঁজে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পর্যটক মুন্নার স্ত্রী ফাতেমা-তুজ-জোহরা ও জোবায়েরের বাবা আবদুর রব বলেন, ‘আমরা যেকোনো উপায়ে ওদের ফিরে পেতে চাই। পরিবারের কোনো সদস্য নিখোঁজ থাকলে তাদের আত্মীয়স্বজনরাও ভালো থাকে না। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় কাটছে আমাদের প্রতিটি মুহূর্ত। প্রশাসন ও যৌথ বাহিনীর কাছে আমরা একটি সুখবর শুনতে চাই।’