লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে আনোয়ারা খাতুন (৭৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এছাড়া ঝড়ে একই উপজেলার দুই শতাধিক কাঁচা, টিনশেড ও আধাপাকা ঘর ভেঙে ও চাল উড়ে গিয়ে আরো ১৫ জন আহত হয়েছেন। তবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

শনিবার সকালে রামগতির চর আলগী ইউনিয়নে  ঘূর্ণিঝড়ে ঘর ভেঙে পড়ে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের পোড়াগাছা এলাকার মৃত শফিক উল্লাহর স্ত্রী।

জানা গেছে, রামগতির চর আলগী, নতুন স্লুইচগেইট এলাকা, বিবিরহাট রশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়সহ দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েকটি টিনশেড ঘর ভেঙে গেছে। কয়েকশ গাছ ভেঙে ও উপড়ে পড়ে গেছে।

এ সময় চর আলগীতে একটি টিনশেড ঘর ভেঙে চাপা পড়েন আনোয়ারা খাতুন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। কয়েকদিন আগে চর আলগীতে তিনি মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন বলে জানা গেছে।

এদিকে কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকায় ফণীর প্রভাবে মেঘনার তীব্র ঢেউয়ের কারণে নদী তীর রক্ষা বাধে ধস নেমেছে। ঝড়ে উপজেলার চরফলকন, চর কালকিনি, চরমার্টিন ও চরজগবন্ধু এলকায় অর্ধ-শতাধিক কাঁচা ও টিনশেড ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতাসহ বিভিন্ন এলাকায় ভারী কয়েকটি গাছ উপড়ে ও ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রফিকুল হক বলেন, ফণীর প্রভাবে ভেঙে পড়া ঘরের চাপায় পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ঘর ভেঙে আরো কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি।