‘রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফেরাতে কর্মীদের মাঠে কাজ বাড়াতে হবে’
রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে আনতে হলে রাজনৈতিক কর্মীদের মাঠ পর্যায়ে কর্মপরিধি বৃদ্ধি করতে হবে বলে জানিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আসুন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে জনগণকে দেশের মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করি। জনগণ ক্ষমতার মালিক, এটা মুখের কথা না। সংবিধানেই লেখা আছে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আরামবাগে দলীয় কার্যালয়ে এক কর্মী সমাবেশে এ কথা বলেন ড. কামাল হোসেন।
ড. কামাল বলেন, বর্তমানে শুধু কাগজে-কলমে রাষ্ট্রের মালিকানা হিসেবে জনগণের কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তারা ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েছে।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই আহ্বায়ক বলেন, জনগণ শুধু কাগজে মালিক থাকলে হবে না। বাস্তবে কাজে আসতে হবে। জনগণকে সংগঠিত করে, তাদের আস্থা নিয়ে আপনারা সেই দায়িত্ব পালন করবেন। যখন জনগণ সংগঠিত হয়ে নির্বাচিত করে আপনাদের হাতে নেতৃত্ব দেবে, তখন সত্যিকার অর্থে দেশের মানুষ মালিকের ভূমিকায় থাকবে।
ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক কর্মীদের জনসংযোগ করতে হবে বলে জানান গণফোরাম সভাপতি।
দলের নেতাকর্মীদের কাছে জনগণকে দেশের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কাজে উদ্বুদ্ধ করার তাগিদ দিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, সামনের দিনগুলোতে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঝুঁকি নিতে হবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে সর্বস্তরের মানুষকে কার্যকরভাবে সংগঠিত করতে হবে।
সভায় দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সাংসদ মোক্কাবির খান, মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, এম শফিউর রহমান খান বাচ্চু, ফরিদা ইয়াসমিন, মাহমুদ উল্লাহ মধু প্রমুখ।