লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীর গরম তেলে ঝলসে গেল স্বামী
লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও তাঁর ভাই গরম তেল ঢেলে এক নির্মাণশ্রমিকের শরীর ঝলসে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে স্বামী দিদার হোসেনের মুখ, হাত, বুকসহ শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
সোমবার সকালে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ রোড এলাকায় ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। অবস্থার অবনতি ঘটায় দিদারকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
দগ্ধ দিদার সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।
দিদারের বড় ভাই আকবর হোসেন জানান, ২০০৩ সালে উপজেলার চররমণীমোহন গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে জহুরার সঙ্গে দিদারের বিয়ে হয়। পরে পারিবারিক কলহের কারণে ২০১৬ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। পরে দুজনই অন্যত্র বিয়ে করেন। প্রায় এক বছর আগে জহুরাকে আবার বিয়ে করেন দিদার। এর পর থেকে তাঁরা লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ রোড এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। আজ সকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে জহুরা ও তাঁর ভাই আলমগীর গরম তেল ঢেলে দিদারের শরীর ঝলসে দেন।
দিদারের বোন রেহানা আক্তার বলেন, ‘জহুরা ও তাঁর ভাই আলমগীর আমার ভাইয়ের শরীরের গরম তেল ঢেলে দিয়েছে। পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, নিজের ইচ্ছেমতো দিদার বিভিন্ন স্থানে একাধিক বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনার পর থেকে জহুরা ও আলমগীর পলাতক। এ জন্য তাঁদের বক্তব্য জানা পাওয়া যায়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, গরম তেলে রোগীর মুখ-হাত ও বুকসহ শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।