ভৈরবে আব্দুর রউফের জানাজা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/02/27/photo-1425042408.jpg)
ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কমান্ডার (অব.) আব্দুর রউফের প্রথম জানাজা তাঁর জন্মভূমি ভৈরবপুর ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর অনুষ্ঠিত জানাজায় হাফেজ মোহাম্মদ মুসা ইমামতি করেন।
রউফের চাচাতো ভাই ও ভৈরব প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মনসুর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, কমান্ডার আব্দুর রউফ (৮৩) আজ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না....রাজিউন)। তিনি বক্ষব্যাধি রোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতের দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে দুদিন আগে দেশে এনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে এবং নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রউফের মরদেহ ঈদগাহ মাঠে পৌঁছালে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেশের এ কৃতী সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সম্মান জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে পুলিশ সদস্যদের একটি চৌকস দল। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আব্দুর রউফের মেয়ে গীতালী হাসান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ভৈরবে জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ নিয়ে পুনরায় তাঁর স্বজনরা রওনা দেন ঢাকার উদ্দেশে। সন্ধ্যা ৬টায় মগবাজারে (সিদ্ধেশ্বরী) অবস্থিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পিএইচটিসির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাখা হবে মরদেহ। এটি তাঁর হাতে গড়া এবং তাঁর শেষ কর্মস্থল। সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন তাঁদের এ প্রিয় মানুষটিকে। পরে মরদেহ নেওয়া হবে মহাখালীর নিউ ডিওএইচএসের বাসায়। সেখানে বাদ মাগরিব নিউ ডিওএইচএস জামে মসজিদে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে বনানীর নৌবাহিনীর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।’
গীতালী হাসান আরো বলেন, ‘কমান্ডার আবদুর রউফ কেবল আমার পিতা বা ভৈরবেরই সন্তান ছিলেন না, তিনি ছিলেন সমগ্র জাতির গর্বিত সন্তান। তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন মেধাবী ও গুণী সন্তানকে হারাল।’ এ সময় গীতালী আবদুর রউফের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দেশবাসীর দোয়া চান।
মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি তাঁকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়। আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও আমার নাবিক জীবন, ঐতিহাসিক পটভূমিতে লেখা কর্বট কন্যাসহ ১২টিরও বেশি জনপ্রিয় গ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন আব্দুর রউফ।