‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় উদ্বিগ্ন নন খালেদা জিয়া’
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/02/27/photo-1425050118.jpg)
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তিনি প্রস্তুত। খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এবং আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এ কথা জানিয়েছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে বার কাউন্সিলে এনটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাহবুব হোসেন বলেন, “এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে শোনা যাচ্ছে যে বেগম জিয়াকে ওই রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার জন্য, সরিয়ে নেওয়ার জন্য, আদালতের মধ্য দিয়ে ওয়ারেন্ট দেওয়া একটা কৌশলমাত্র। সেই কৌশল রাজনৈতিক কৌশল এবং সেই কৌশল রাজনৈতিকভাবে সমাধান হবে। উনি (খালেদা জিয়া) আমাদের বলেছেন, ‘আপনাদের আইনগতভাবে যতটুকু চেষ্টা করার আপনারা করেন। তবে ফলাফল যাই হোক না কেন, আমাকে গ্রেপ্তার করুক, ফাঁসি দিক। যা কিছু তারা করতে পারে। যে পর্যন্ত জনগণের সরকার কায়েম না হয়, আমি আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এই সংকটময় রাজনৈতিক অবস্থায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করাটা জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের সবাই বলেছে, এই রাজনৈতিক সংকটকে আরো বেগবান করবে। আমি এখনো বিশ্বাস করি, এটি একটি রাজনৈতিক সমস্যা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে মামলা করে, হামলা করে, এই আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাজিরা না দেওয়ায় খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরোয়ানা জারির পর করণীয় নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত বেরিয়ে না এলেও আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট মাহবুব হোসেন।
সর্বশেষ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সপ্তমবারের মতো আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন মামলার অন্যতম আসামি খালেদা জিয়া।
দুটি মামলায় খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ মোট নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। ২০০৮ ও ২০১১ সালে মামলা দুটি করে দুদক। অভিযোগ গঠিত হয় গত বছরের মার্চে। মামলা দুটির ৬৩ কার্যদিবসে সাতবার আদালতে হাজিরা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন। এ দুটি মামলা ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে গ্যাটকো, নাইকো, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা রয়েছে।