ঢাকায় মেয়র পদে লড়বেন গোলাম মাওলা রনি
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/02/27/photo-1425050574.jpg)
ঢাকা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে নির্বাচন করবেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। আজ শুক্রবার এনটিভি অনলাইকে তিনি এ কথা জানান। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী।
এ ব্যাপারে এনটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে রনি বলেন, ‘হ্যাঁ আমি সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ব।’ কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থন আছে বা পাবেন কিনা জানতে চাইলে সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র হয়ে লড়াই করব।’
গোলাম মওলা রনি আরো বলেন, ‘নেতৃত্বগুণ থাকলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। মানুষই একসময় এসে পাশে দাঁড়াবে। আগে তো এগোতে হবে। এগিয়ে গেলেই পাশে মানুষ পাওয়া যাবে।’ নেতৃত্ব ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে রাজধানীর উন্নয়নে কাজ করতে চান রনি।
নির্বাচন করার ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও লিখেছেন গোলাম মওলা রনি। তিনি লিখেছেন, ‘একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পূর্বে আমি শতবার ভেবেছি - এটা কি আমার দ্বারা সম্ভব হবে? জীবনের বহু সফলতা এবং ব্যর্থতার অভিজ্ঞতার ওপর দাঁড়িয়ে মনে হয়েছে - ইনশাআল্লাহ্ আমি পারব। বহু ভোটের ব্যবধানে জয়ী হওয়ার সকল কিছুই আল্লাহপাক আমাকে দান করেছেন।’
‘ঢাকাকে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বাস্তব জ্ঞান আমি অর্জন করেছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো, সুইডেনের স্টকহোম এবং ডেনমার্কের কোপেনহেগেন মহানগরীর ওপর গবেষণার সুযোগের কারণে। অন্যদিকে, তুমুল প্রতিযোগিতা এবং সম্পূর্ণ বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভের অভিজ্ঞতাও আমার রয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমতার সমন্বয়, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন এবং এলাকার উন্নয়ন করার বাস্তব নমুনা আমি রেখে এসেছি ১১৩ পটুয়াখালী-৩ নামক সংসদীয় নির্বাচনী এলাকায়।’ বলেছেন রনি।
আগামী এপ্রিল-মে মাসে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ঢাকা উত্তরের মেয়র পদের জন্য ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হক, আর দক্ষিণের জন্য সাবেক মেয়র প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফের ছেলে সাঈদ খোকনের নাম চূড়ান্ত করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ দুই প্রার্থীর সঙ্গে গণভবনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তাঁদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের কোনো দল এখনও তাদের প্রার্থিতার ব্যাপারে কিছু বলেনি। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধনী বিল), ২০১১ পাসের মাধ্যমে বিলুপ্ত করা হয় ঢাকা সিটি করপোরেশন। এর পর ৩৬টি ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ৫৬টি ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। এরপর নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দুই অংশের জন্য দুই প্রশাসন নিয়োগ দেয় সরকার, যাঁদের মেয়াদ ১৮০ দিন। ফলে দীর্ঘ সময় নির্বাচন না হওয়ায় দফায় দফায় বদল হয়েছেন প্রশাসকরা।