‘অভিজিৎ হত্যা মুক্তবুদ্ধির চেতনার ওপর হামলা’
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/02/27/photo-1425056736.jpg)
অভিজিৎ হত্যায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন দেশের ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, ‘বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও’ আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক পদার্থবিজ্ঞানী অজয় রায়ের ছেলে অভিজিৎ রায়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা জানাচ্ছি। এ হত্যাকাণ্ড মুক্তবুদ্ধি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার ওপর হামলা বলে আমরা মনে করি। লেখক অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ডের ধরন থেকে আমরা আশঙ্কা করছি যে, এরই মধ্যে সংঘটিত ড. হুমায়ুন আজাদ, ড. তাহের, ড. ইউনুছসহ সকল হত্যাকাণ্ডের হোতা উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীই এটি ঘটিয়ে থাকতে পারে।
‘দেশের চলমান পরিস্থিতির শুরুতে বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সকল পক্ষকে সতর্ক করেছিল যে, রাজনৈতিক বিরোধ, প্রতিহিংসা এবং অসহিষ্ণুতা দেশে উগ্র মৌলবাদী শক্তির অপপ্রয়াস উসকে দিতে পারে।
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড এ আশঙ্কাকে তীব্র করে তুলেছে।’
বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা অবিলম্বে অভিজিৎ হত্যায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে তা কার্যকরের দাবি জানিয়ে আরো বলেন, দেশে মুক্তচিন্তা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথ উন্মুক্ত রাখতে এবং উগ্র মৌলবাদী শক্তির উত্থান রোধে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও-এর পক্ষে ড. আনিসুজ্জামান (সভাপতি), অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল (আহ্বায়ক) ও বিশিষ্ট সাংবাদিক কামাল লোহানী, ডা. সারওয়ার আলী, নাসিমুন আরা হক, সাংবাদিক আবেদ খান, সৈয়দ শামসুল হক, জিয়াউদ্দিন তারিক আলী, রাশেদা কে চৌধুরী, ড. এম এম আকাশ, অ্যাডভোকেট সুপ্রিয় চক্রবর্তী, কাবেরী গায়েন, মোতাহার আখন্দ, লাইসা আহমেদ লিসা ও জিনাত আরা হক ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত কুপিয়ে হত্যা করে অভিজিৎ রায়কে। তিনি মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. অজয় রায়ের ছেলে। ওই ঘটনায় অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকেও জখম করে দুর্বৃত্তরা। তাঁর অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।