বিচারব্যবস্থায় দীপনের বাবার আস্থা ফেরানোর আশ্বাস মন্ত্রীর
ছেলে ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যার ঘটনায় বিচারব্যবস্থায় অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক আক্ষেপ ও দুঃখবোধ থেকে যে কথা বলেছেন, তাতে আমরা সত্যিকার অর্থেই মর্মাহত। আমরা এই ঘটনার দ্রুত বিচার করে বিচারের ওপর তাঁর আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করব।’ আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ছেলের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয়, তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে। বিচার, পুলিশ ও আইন-আদালত দিয়ে তো শুধু আমরা একজনকে শাস্তি দিতে পারি। কিন্তু জাতীয় উন্নতি হবে না।’
ব্রিফিংয়ে চলতি মাসের মধ্যেই ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে বলে জানান আইনমন্ত্রী। এ পর্যন্ত যতজন ব্লগার নিহত হয়েছেন সেই প্রত্যেকটি হত্যার ঘটনার অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাগুলো যেন দ্রুত নিষ্পত্তি হয় এ জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে সর্বাত্মকভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
জেলহত্যা ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘দুই মামলার পাঁচজন আসামি বিদেশে পলাতক রয়েছেন। এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থান আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। নূর চৌধুরী আছেন কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী আছেন আমেরিকায়। আমরা ওই দুই দেশের সরকারের সঙ্গে তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’ কানাডার নতুন সরকারের সঙ্গে নূর চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়ে আলোচনা শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
দল হিসেবে জামায়াতের বিচার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এর জন্য আইসিটি অ্যাক্টের (তথ্যপ্রযুক্তি আইন) সংশোধনীর খসড়া আমরা মন্ত্রিপরিষদে জমা দিয়েছি। এটি সময়োপযোগী হলে এবং পর্যালোচনা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এটা মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করবে।’
এ সময় সাংবাদিকরা মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, একই কথা আরো দুই মাস আগেও তিনি বলেছিলেন। কিন্তু এখনো এটি মন্ত্রিসভায় ওঠেনি। এর পেছনে কোনো বিশেষ কারণ আছে কি না তা জানতে চান সাংবাদিকরা। এ উত্তরে আনিসুল হক বলেন, ‘আমার ওপর আপনারা আস্থা রাখুন। আমার দায়িত্ব আমি পালন করেছি। এখন এটি মন্ত্রিসভায় কখন উঠবে সেটি মন্ত্রিপরিষদের দায়িত্ব।’