বাবা-মাকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেন ঐশী
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/11/12/photo-1447315881.jpg)
পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে মেয়ে ঐশী রহমান ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছেন বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণার সময় দেওয়া পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেন।
বিচারক আরো বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ ঐশীর প্রকৃত বয়স প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আর সে যে সাবালিকা, এটাও প্রমাণ হয়েছে।’
আসামিপক্ষ ঐশীর বয়সের পক্ষে যা যুক্তি দিয়েছে, তা যথাযথ নয় বলে মন্তব্য করেন আদালত। পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘ঘটনার দিন ঐশী নেশাগ্রস্ত ছিল। তার ক্রিমিনাল ইনটেন্ট (অপরাধ সংঘটনের ইচ্ছা) ছিল। হঠাৎ করেই কোনো উত্তেজনা ছিল না, পূর্বপরিকল্পিতভাবে সে তার বাবা-মাকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে। সে সুকৌশলে কফির সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তার বাবা-মাকে হত্যা করেছে।’
খুনের সময় ঐশী প্রাপ্তবয়স্ক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে বাবা-মাকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া অপর আসামি রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিচারক রনির বিষয়ে বলেছেন, সে যতদিন এ মামলায় আগে থেকে সাজা খেটেছে, তা দুই বছরের কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমানের সহকারী আইনজীবী ফয়সাল ভূঁইয়া অনি এনটিভি অনলাইনকে জানান, রনি মামলার শুরুতে গ্রেপ্তার হওয়ায় প্রায় দুই বছর জেল খেটেছেন। ফলে তিনি এখন মুক্তি পেয়ে যাবেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট বলেও জানান ফয়সাল।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের।
পরে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম সাজেদুর রহমান তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।