নির্বাচন হলে আ. লীগ ৩০ আসনও পাবে না : রিপন
এখন প্রতিযোগিতামূলক একটি নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের পক্ষে ৩০টি আসন পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন।
আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রিপন। এ সময় তিনি গতকাল (বৃহস্পতিবার) বগুড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করেছে তাঁরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এগুলো রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত।’urgentPhoto
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘বিএনপি মনে করে, সরকার এ পর্যন্ত একটি অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণকে ভীতির চোখেই দেখে। বিএনপি মনে করে, সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনকে এড়িয়ে ক্রমেই একদলীয় কর্তৃত্বাধীন শাসনব্যবস্থার গণতন্ত্রবিনাশী পথেই আরো অগ্রসর হচ্ছে। একটি অবাধ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হলে শাসক দলের পক্ষে ৩০টি আসনও পাওয়া দুষ্কর হবে। এটা বোধহয় উপলব্ধি করতে পেরেই জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে তাঁরা চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকার এক অলীক স্বপ্ন দেখছেন।
‘তারা (সরকার) জনগণের চোখের ভাষা, হৃদয়ের স্পন্দন বুঝতে অক্ষম হয়ে গেছেন। স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গি সরকারকে শুধু অন্ধই করছে না, শাসকগোষ্ঠীর উন্মাসিকতা, অহংকার, জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে অবস্থান- তাদের মরীচিকার পথেই হাতছানি দিচ্ছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের জাতীয় সংলাপের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে দলের মুখপাত্র বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার এরশাদ সহযোগে গঠিত একটি বিনাভোটের সরকারের সঙ্গেও বিএনপি, নাগরিক সমাজ সংলাপে বসার আগ্রহ দেখিয়েছিল শুধু গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য। যাতে ভবিষ্যৎ সংকটকে এড়ানো সম্ভব হয় এবং জাতির নিরাপত্তার স্বার্থেই এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার সে প্রস্তাব শুধু অগ্রাহ্যই করেনি, এর মধ্য দিয়ে তারা নিজেদেরও ঠকিয়েছে, যা ভবিষ্যতেই প্রমাণ হবে।’
আসাদুজ্জামান রিপন আরো বলেন, ‘হিংসাশ্রয়ী-প্রতিশোধ স্পৃহায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্রবিনাসী যে আচরণ সরকার করেই যাচ্ছে- তা থেকে সময় থাকতেই শাসক দলের ক্ষান্ত হওয়া উচিত। কেননা এই অপরাজনীতি জনগণ বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের মানুষ, বর্তমান যুবসমাজ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে এখন শুধু নেতিবাচক বার্তাই পাচ্ছে- যা দেশ ও রাজনীতির জন্য মোটেই কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।’