‘সামাজিকভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি হলে অপরাধের সংখ্যা কমবে’
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/11/14/photo-1447521571.jpg)
বান্দরবানে পাহাড়ের গরিব-দুঃখী অসহায় মানুষদের বিনা খরচে আইনি সহায়তা দিতে সব ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের আইনি সহায়তা শীর্ষক কর্মশালা হয়েছে। শনিবার সকালে বান্দরবানে জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির আয়োজনে ইউএনডিপির অর্থায়নে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
‘গরিব-দুঃখীর মামলার ব্যয়, বাংলাদেশ সরকার দেয় এবং সামাজিকভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি বাড়ান, আদালতের ওপর মামলার চাপ কমান’ প্রতিপাদ্য বিষয়ে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এবং জেলা ও দায়রা জজ মো. শফিকুর রহমান।
এ সময় অন্যদের মধ্যে মুখ্য বিচারিক হাকিম ফারুক আহমেদ, জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন, সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক থানজামা লুসাই, জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ড. মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আলাউদ্দিন ইমামীসহ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টধর্মের শতাধিক ধর্মীয় নেতা কর্মশালায় অংশ নেন।
জেলা ও দায়রা জজ মো. শফিকুর রহমান জানান, পাহাড়ের গরিব-দুঃখী সুবিধাবঞ্চিত পাহাড়ি-বাঙালি জনগোষ্ঠীদের সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমে অধিক সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ। পাহাড়-সমতল সবখানে বিচার পাওয়ার অধিকার আছে সবার। বিচারপ্রার্থীদের বিচার পাওয়া অধিকার সুনিশ্চিত করতে গরিব-দুঃখী মানুষের মামলার খরচ সরকার বহন করছে। তবে সামাজিকভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। সামাজিকভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি বাড়ান এবং আদালতে ওপর মামলার চাপ কমান। সামাজিকভাবে সমস্যাগুলো বিরোধ নিষ্পত্তি করা গেলে সমাজে অপরাধের সংখ্যা কমবে। মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট থাকবে।
বিশেষ অতিথি মুখ্য বিচারিক হাকিম ফারুক আহমেদ বলেন, আদালতে মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিচারপ্রার্থীরা প্রায়ই সময় বিচারের সুফল ভোগ করতে পারে না। মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি, বিচারক সংকট, অবকাঠামোগত সংকট এবং নানাবিধ সমস্যার কারণে আদালতগুলোতে মামলার জটলা তৈরি হয়েছে। বিচারক এবং সরকারের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সময়মতো মামলা শেষ করা যাচ্ছে না। এ কারণে ধর্মীয় নেতারা সামাজিকভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ছোটখাটো সমস্যাগুলো মীমাংসা করে ফেলার জন্য লোকজনদের বোঝাতে হবে। ধর্মীয় নেতাদের কথা মানুষ শোনে।