আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর খালাসের রায় আপিলেও বহাল
জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে খালাস দেওয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দীকী।
আদালতে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আহসানুল করিম।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর অনুপস্থিতিতে জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত বিশেষ জজ আদালত ১০-এর বিচারক এ কে এম আরিফুর রহমান পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বিচারক তাঁর রায়ে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর অবৈধ দুই কোটি ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ টাকার সম্পদ সরকারের অনুকূলে আইনানুগভাবে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে মামলার বিষয়বস্তুর ওপর শুনানি শেষে ২০১০ সালের ১০ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁকে খালাস দেন।
হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে দুদক।
এ আবেদনের শুনানিতে ব্যারিস্টার রোকন বলেন, তাঁর মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজের সম্পত্তি এবং মানিক মিয়ার ধানমণ্ডির বাড়িকে আনোয়ার মঞ্জুর অর্জিত সম্পদ দেখিয়ে দুদক এই মামলা করে। তাঁর বৈধ আয় বহির্ভূত কোনো সম্পদ নেই।
২০০৭ সালের ৭ অক্টোবর ধানমণ্ডি থানায় করা এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ২০০৮ সালের ২০ মার্চ। এতে তাঁর স্ত্রী প্রাক্তন সংসদ সদস্য তাসমিমা হোসেনকেও আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু দুই কোটি ১০ লাখ ৬২ হাজার ৩০০ টাকার সম্পদ গোপন করে অবৈধ এক কোটি ৭২ লাখ চার হাজার ৩৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন করেন।