শেরপুরের বর্ষীয়ান রাজনীতিক আবদুর রেজ্জাকের দাফন সম্পন্ন

শেরপুরের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, জেলার প্রথম পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক শেরপুর’-এর সম্পাদক আবদুর রেজ্জাকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় শেরপুর তেরাবাজার জামিয়া সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসা মাঠে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংঠনের নেতা-কর্মীসহ বিপুলসংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন।
জানাজার আগে শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু, পৌরসভার মেয়র হুমায়ুন কবির রুমান, শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র আবদুল হাকিম, নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান রিপন, সারা জেলা থেকে আগত সাংবাদিক নেতা, ব্যবসায়ী নেতা ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক পৌর মেয়র আবদুর রাজ্জাক আশীষ এবং মরহুমের একমাত্র সন্তান এনটিভির শেরপুর প্রতিনিধি কাকন রেজাসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
রাত ১০টায় মরহুমের গ্রামের বাড়ি পাকুড়িয়া ইউনিয়নে খামারপাড়ায় তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ জানাজায়ও বিপুলসংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন। এখানেও জানাজার আগে স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে আবদুর রেজ্জাককে দাফন করা হয়।
আবদুর রেজ্জাক গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে শেরপুর জেলা শহরের নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।
আবদুর রেজ্জাক ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৯০ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। সর্বশেষ ১৯৯১ সালে তিনি শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে ১৯৮৬ সালে তিনি শেরপুর থেকে প্রকাশিত প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক শেরপুর প্রকাশ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শেরপুরের অসংখ্য সাংবাদিকের শিক্ষাগুরু ছিলেন তিনি।
এ ছাড়া সাহিত্যিক ও কবি হিসেবে আবদুর রেজ্জাকের ছয়টি প্রকাশনা রয়েছে। তিনি শেরপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী আবদুর রেজ্জাকের মৃত্যুতে সারা জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।