সরব আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রের অপেক্ষায় বিএনপি
ফেনী পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মাঠে সরব উপস্থিতি থাকলেও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের কাউকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র ও ভোটার তালিকা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (সার্বিক) মো. এনামুল হক জানান, ফেনী জেলার পাঁচটি পৌরসভার মধ্যে আগামী ৩০ ডিসেম্বর তিনটি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো ফেনী সদর, দাগনভূঞা ও পরশুরাম। ফেনী পৌরসভার নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে তিনি।
প্রথম শ্রেণির ফেনী পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে ১৮ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের ছয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে থেকে আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতারা মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আকরামুজ্জামান জানান, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। দল থেকে তাঁকে মেয়র পদে মনোনয়ন দিলে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বর্তমান পৌর মেয়র জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাজি আলাউদ্দিন গত ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তিনি মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চাইছেন। নির্বাচনের আগমুহূর্তে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ায় তাঁর মনোনয়ন পাওয়া অনেকটা নিশ্চিত বলে অনেকেই বলছেন।
হাজি আলাউদ্দিন জানান, তিনি দলের কাছে মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন চাইবেন। দল যদি মনোনয়ন দেয়, তা হলে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় মেয়র পদ ছেড়ে দেন নিজাম উদ্দিন হাজারী। গত ১৭ মাসে ফেনী পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে হাজি আলাউদ্দিন মেয়র নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে, ২০-দলীয় জোট পৌর নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, এ নিয়ে কেন্দ্র থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় তারা মুখ খুলছে না। তবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত পেলে তিনিসহ বেশ কয়েকজন নেতা দলের কাছে মেয়র পদে মনোনয়ন চাইবেন।
সচেতন নাগরিক ফোরামের ব্যানারে মেয়র পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সাপ্তাহিক ফেনীর বার্তা সম্পাদক মীর হোসেন মীরু।
কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুদ্দিন রূপম জানান, দল থেকে মনোনয়ন পেলেই কেবল কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জয়নব বানু জানান, এলাকার ভোটাররা তাঁর কাছে এসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনুরোধ করছেন। তাই তিনি সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কয়েকজন ভোটার বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাঁরা ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রত্যাশা করছে। ভোট দেওয়ার মতো শান্তিপূর্ণ অবস্থা থাকলে তাঁরা ভোটকেন্দ্র যাবেন।