মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর রিয়াজ হত্যা মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শওশত আলী চৌধুরী আজ রোববার এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন গজারিয়া উপজেলার যষ্টিতলা গ্রামের মো. রিপন (২২) ও হুগলাকান্দি গ্রামের শামীম (২০)। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন মো. জালাল (২৮) ও মো. মঞ্জিল (২৬)। এঁদের মধ্যে মঞ্জিল পলাতক।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গজারিয়ার যষ্টিতলা গ্রামের গোলবক্স বেপারীর ছেলে রিয়াজের সঙ্গে একই গ্রামের আহ্নি নামের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এতে বাদ সাধে হুগলাকান্দি গ্রামের হাছেন ভূঁইয়ার ছেলে শামীম। একপর্যায়ে রিয়াজ ও আহ্নি ঘুরতে গেলে নিখোঁজ হন রিয়াজ। নিখোঁজের তিনদিন পর ২০০৯ সালের মার্চ মাসে স্থানীয় ধানক্ষেতে রিয়াজের মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে রিয়াজের বাবা গোলবক্স দেওয়ান গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। শামীম পুলিশের কাছে ধরা পড়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

দীর্ঘদিন মামলা চলার পর আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় আদালতে আসামি রিপন, শামিম ও জালাল উপস্থিত ছিলেন। রায় শুনে তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

মামলার বাদী গোলবক্স উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, তিনি এই রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং এই রায় দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চান।

এদিকে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন রিপন ও শামীমদের আইনজীবী আবদুল হালিম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পাবলিক প্রসিকিউটরস আবদুল মতিন।