উনি ভাবছেন, কারাগারই ওনার নিরাপদ জায়গা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/03/04/photo-1425473034.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) ভাবছেন, কারাগারই ওনার সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। উনি বোধহয় নিজেই চাচ্ছেন ওনাকে অ্যারেস্ট করা হোক, আর কারাগারে প্রেরণ করা হোক।’
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আদালত যে নির্দেশ দেন, সেই নির্দেশ মোতাবেকই চলতে হবে। যেটা আইনের শাসন, সেটাই হবে। তার জন্য যা করার তাই করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘হঠাৎ করে এই বছর ৬ জানুয়ারিতে আমাদের দেশে এখন একজন জঙ্গিনেত্রীর উত্থান ঘটেছে। সেই জঙ্গিনেত্রী হচ্ছেন খালেদা জিয়া। এই জঙ্গিনেত্রী আইন মানেন না, আদালত মানেন না, নিয়ম মানেন না, সংবিধান মানেন না, কিছুই মানেন না। এখন একটাই কাজ হচ্ছে, জঙ্গি শক্তি দেখানো আর মানুষ খুন করা।’
এরপর চট্টগ্রাম-৯ আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর প্রশ্ন, ‘আমাদের দেশে জঙ্গিনেত্রীর উত্থান ঘটেছে, উনি আইন মানেন না, সংবিধান মানেন না, আদালত মানেন না, সংসদ মানেন না, দেশের প্রচলিত নিয়মকানুন মানেন না। তাহলে জঙ্গিনেত্রীর ভয়ে কি আমরা ভীতসন্ত্রস্ত? উনি কি ভীতসন্ত্রস্ত? জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য, ১৪ লক্ষ শিশুর স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এবং গার্মেন্টসসসহ বিভিন্ন শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে তার (খালেদা জিয়া) এই জঙ্গি কর্মকাণ্ডের জন্য, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, আপনি কী ব্যবস্থা গ্রহন করছেন? আমরা তো আর পারছি না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।’
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর বিচার হবে। সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে একটা বিষয় আমার এখন মনে হচ্ছে। উনি যেহেতু এই ধরনের গণহত্যা চালিয়ে, জঙ্গিবাদী তৎপরতা চালিয়ে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। মানুষকে ভয় পাচ্ছেন। এখন উনি বোধ হয় ভাবছেন, কারাগারই ওনার সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। উনি বোধ হয় নিজেই চাচ্ছেন, ওনাকে অ্যারেস্ট করা হোক, আর কারাগারে প্রেরণ করা হোক। আর ওনার একটু এ ধরনের নাটক করার অভ্যাস আছে। সেটা এরশাদ সাহেব ভালো জানেন যে পূর্বাণী থেকে কীভাবে বের করেছিলেন। কাজেই ওই ধরনের নটঙ্গীপনা যাকে বলে, সেই নটঙ্গীপনা করার একটা অভ্যাস আছে। তিনি ওই ধরনের একটা নটঙ্গীপনা করে বিদেশি প্রচার-প্রচারণায় যাতে আসতে পারেন, সেই চেষ্টাটা এবং যাতে একটু সিমপ্যাথি পেতে পারেন, সেই চেষ্টাটাই বোধ হয় করে যাচ্ছেন। কাজেই এখন মনে হচ্ছে, নিজেই যেন উনি নিজেকে গ্রেপ্তার করে জনরোষ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেখানে বিদেশিরা যাচ্ছে, সবাই যাচ্ছে, এখন ওনার (খালেদা জিয়া) নেতা-কর্মীরা যদি না যায়, ওনার জন্য কোনো মানুষ যদি না দাঁড়ায়, ওনার কথায় যদি কেউ না আসে, তাতে এতে আমাদের কী দোষ?’ তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে ওনার দলের অনেক সাবেক এমপির কথা হয়েছে। কেউ ওনার এই সমস্ত কর্মকাণ্ড সমর্থন করেন না।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) এখন জনবিচ্ছিন্ন, একটু পাবলিসিটি চান, তাই উনি আর জনবিচ্ছিন্ন থেকে বাঁচার জন্য বোধ হয় নাজিমউদ্দিন রোড উনি বেছে নিয়েছেন। ওটায় যেতে পারলে উনি বোধ হয় একটু নিরাপদ মনে করছেন। যাই হোক, আমি এইটুকুই বলব, আদালত যে নির্দেশ দেন, সেই নির্দেশ মোতাবেকই চলতে হবে। কারণ আমরা সব সময় আদালত বা আইনের শাসনকে সম্মান করি। কাজেই যেটা আইনের শাসন, সেটাই হবে। রুল অব ল সব সময় মেনে চলা হবে। এবং তার জন্য যা করার তাই করা হবে।’