বয়স বিবেচনায় নিজামীর সাজা কমাতে পারেন আদালত
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, প্রসিকিউশন নিজামীর অপরাধ প্রমাণ করতে পারেননি। তারপরও আদালত দোষী মনে করলে বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনায় তাঁর মৃত্যুদণ্ড কমাতে পারেন।
আজ বুধবার দুপুরে মতিউর রহমান নিজামীর আপিলের যুক্তিতর্ক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মাহবুব এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, তাঁরা দোষ স্বীকার করেছেন বলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সঠিক নয়।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আদালতে আমরা বলেছি, জামায়াতে ইসলামীর সদস্য হিসেবে মতিউর রহমান নিজামী পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা করায় বিশ্বাস করতেন। এ বিশ্বাসে তিনি পাকিস্তানকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, হত্যা, ধর্ষণের মতো অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে সাক্ষীরা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এক রকম বক্তব্য দিয়েছেন আবার আদালতে এসে ভিন্নভাবে সাক্ষী দিয়েছেন। প্রসিকিউটররা (কৌঁসুলি) সাক্ষীদের সেফ হোমে দিনের পর দিন প্রশিক্ষণ দিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। হত্যা বা ধর্ষণের মতো কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।’
সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী বলেন, ১৯৭১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছাত্রসংঘের দায়িত্বে ছিলেন নিজামী। তার পরে অন্যজন দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে সেনাবাহিনীর অধীনে দেশ ছিল। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আল-বদর বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করত।
খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যায় তিনি (নিজামী) জড়িত ছিলেন না। নিজামী ওই সময়ে একজন যুবক ছিলেন। আলবদর বাহিনীর হয়ে একজন যুবক এত মানুষকে হত্যা করেছেন এমন কোনো তথ্য প্রসিকিউশন দিতে পারেনি। তবু আদালতে বলেছি, আমাদের দৃষ্টিতে তাঁর বিরুদ্ধে কোন অপরাধ প্রমাণ করতে পারেনি প্রসিকিউশন।’
‘আদালত যদি মনে করে দোষী তাহলে মতিউর রহমান নিজামীর বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় সর্বোচ্চ দণ্ড কমাতে পারেন। ফৌজদারি মামলায় এ আবেদন করার সুযোগ সব সময় থাকে। তবে এর অর্থ এ নয় যে; আইনজীবীরা দোষ স্বীকার করে মৃত্যুদণ্ড কমানোর আবেদন করেছেন’, যোগ করেন খন্দকার মাহবুব।